জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ১৪ জন
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। পুরো ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উত্তেজনা। উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র ও মাথায় হেলমেট পরে ক্যাম্পাসে মহড়া দেয়। জবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত হওয়ার পর পদপ্রত্যাশী কয়েকটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে আসছিল।
গতকাল সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার ও ভাস্কর্য চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মাদারীপুর ও ময়মনসিংহ গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে একটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে থাকে এবং বহিস্কৃত ও চাঁদাবাজদের ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
বেলা ১২টার দিকে পদপ্রত্যাশী আরেকটি গ্রুপ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে দুগ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। তারা আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গুরুতর আহত ছাত্রলীগের এক কর্মীকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, মাদারীপুর গ্রুপ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও ময়মনসিংহ গ্রুপের নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের অনুসারী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেম নিবেদন ও এক ছাত্রীকে উত্যক্তের জের ধরে সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মাদারীপুর গ্রুপের ৩-৪ জন কর্মীকে মারধর করেন ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মীরা। এরপর দুপুরে মাদারীপুর গ্রুপের সহসভাপতি মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম রেজা এবং ময়মনসিংহ গ্রুপের সাংগঠনিক সম্পাদক জহির রায়হান আগুন ও বহিষ্কৃত উপ-প্রচার সম্পাদক আনিসুর রহমান শিশিরের কর্মীদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে উভয়পক্ষ মিছিলের প্রস্তুতি নিলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষ ও দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়।
পরে পুলিশের কোতোয়ালি জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহেন শাহ, জবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জন ঘোষ ও প্রক্টরিয়াল বডির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জবি ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম জানান, ছাত্রলীগ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ঢাকায় ফিরে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উত্তেজনা। উভয়পক্ষই দেশীয় অস্ত্র ও মাথায় হেলমেট পরে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। জবি ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত হওয়ার পর পদপ্রত্যাশী কয়েকটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়ে আসছিল।