চাটখিলে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ
চাটখিল (নোয়াখালী) সংবাদদাতা : পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর চাটখিল শাখা ইনচার্জ মোঃ শহিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ও ইন্স্যুরেন্সে অথরিটি বোর্ড অব (আই ডি আর এ) গ্রাহক শাহিনা ইসলাম অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই ২০০৭ সালে ৫০ হাজার টাকার ১০ বছরের মেয়াদের একটি বীমা করে। যার নং- ০১১০৩০০৫৩৮-৩। শহীদ শাহিন ইসলামকে মাইজদীতে টাকা জমা দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ৫ শত থেকে হাজার টাকা বেশি নিয়ে যায়। কিন্তু অদ্যাবধি সর্বশেষ কিস্তির রিসিড বুঝিয়ে না দিয়ে নানা রকম তালবাহনা করে এবং বলে সমস্যা নেই আপনি চেক পাওয়ার সময় সব টাকা একসাথে পাবেন। অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নারী গ্রাহক জানান, শহিদ অফিসে মিটিংয়ে আছে বলে ডেকে নিয়ে শ্লীনতাহানির চেষ্টা করে, শুধু তাই নয় সে প্রতি নিয়ত গ্রাহকদের সাথে রুড় আচরণ করে। এদিকে উপজেলার চাটখিল বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ খোরশেদ আলম জানান, তার ৩টা বীমা এ কোম্পানিতে করা হয়েছে। কিন্তু শহিদ অব্যাহত ভাবে আমাদেরকে হয়রানি করেছে। জানা যায়, শহিদ বহু গ্রাহকের কিস্তির টাকা আত্মসাৎ করে ও কৌশলে বোনাস ও মেয়াদ উত্তির্ণ বীমার টাকা প্রসেসিং করে এনে দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় করার হাতিয়ে নিচ্ছে। ভূক্ত ভোগী শাহিন ইসলামের ভাই জেলা ইনসার্জ শাখাওয়াত হোসেন ও চাটখিল অফিস ইনসার্জ মো: শহিদকে বলেন আই.ডি.আর এ যেহেতু গ্রাহকদের স্বাক্ষরদেখে সেহেতু আমরা আই.ডি. আরএ যাবো, এতে তারা খুব্ধ হয়ে বলেন জান আই.ডি.আর এ আই.ডি.আর কি করবে সেটা আমরা দেখবো?
উল্লেখ্য পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের জি এম মঞ্জুরুল হক শিকদার এর মুঠোফোনে ভুক্তভোগী শাহিনা ইসলামের ভাই মোঃ জহির উদ্দিন বিষয়টি অবগত করলে তিনি জেলা ইনচার্জকে বিষয়টি অবহিত করতে পরামর্শ দেন। জেলা ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জিএম এর চাকরি করেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহিদ একসময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল। তার এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ব্যাপারে চাটখিল অফিস ইনচার্জ মোঃ শহিদের মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। পদ্মা লাইফের বৃহত্তর নোয়াখালীর ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি চাটখিল ইনচার্জের ব্যাক্তিগত ব্যাপার বলে জানান।