শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩
Online Edition

৪৫ বছরে বাংলাদেশ বৈদেশিক সহায়তা পেয়েছে ১৫ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার

সংসদ রিপোর্টার : স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৪৫ বছরে দেশের ভৌত অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ১৫ হাজার ১৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিদেশী অর্থায়ন ও সহায়তা এসেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর মধ্যে বৈদেশিক অর্থায়ন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং সহায়তা এসেছে ১১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য মোঃ সোহরাব উদ্দিনের (কিশোরগঞ্জ-২) এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। এরআগে বিকেল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ১৫ তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক খাতে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন দাতা দেশ/সংস্থা থেকে ঋণ ও অনুদান গ্রহণ করে থাকে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত ভৌত অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পসমুহ বাস্তবায়নে বৈদিশিক উৎস হতে মোট ৩ হাজার ৬৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ভৌত অবকাঠামো ছাড়াও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন বিদ্যুৎ খাত, তেল, গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ খাত, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান এবং পরিবহনসহ অনান্য অবকাঠামো খাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একই সময়ে প্রায় ১১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদিশিক সহায়তা পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, যে সকল দেশ ও সংস্থা বাংলাদেশে ভৌত-অবকাঠামো খাতে সয়াহতা প্রদান করে থাকে তাদের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্বব্যাংক (আইডিএ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি), জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, রাশিয়া, চীন অন্যতম।
চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমপি এম আবদুল লতিফের অপার এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোর অলস টাকার পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা, যা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চে এসে দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।
লক্ষীপুর-১ আসনের এমপি এম এ আউয়ালের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের মার্চ পর্যন্ত সাময়িক রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৩৫৬  দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। বিগত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে যা ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৪৩৮  দশমিক  ৪৭ কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে গত বছরের তুলনায় ২০ হাজার ৯১৮ দশমিক ২৬ কোটি টাকা অধিক অর্থ আহরিত হয়েছে।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য যারা এখনো আয়কর দিচ্ছেন না অথচ আয়কর যোগ্য তাদেরকে আয়কর দেবার জন্য উদ্বুদ্ধ করার কাজ চলছে। আয়কর মেলা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আয়করযোগ্য সকল ব্যক্তিকে আয়করের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন।
৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে এমন খবরের প্রেক্ষিতে অর্থপ্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেখছে। এটি রোধে আমরা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইন প্রয়োগসহ সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ