রামপালে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণের অনিয়ম
রামপাল (বাগেরহাট) সংবাদদাতা: রামপালের বাইনতলা ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে হতদরিদ্র লোকদের ১০ টকা কেজি দরের চাল বিতরণের তালিকায় মাদ্রাসা শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও স্বচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করে চাল উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে খুলনা বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নে ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও ইউপি সদস্য বারুইপাড়া গ্রামের মৃত ফললে রহমান এর ছেলে গাজী নাজমুল হোসেন ওই ওয়ার্ডের হত দরিদ্রদের তালিকায় তার ভাই বারুইপাড়া মাদ্রসার এবতেদায়ী শিক্ষক গাজী জিল্লুর রহমানকে ৭৮৯ নং ক্রমিকে কৃষক হিসাবে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তার আরেক ভাই গাজী ফেরদাউসকে তালিকায় ৭৬১ নং ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার ছোট ভাই জিয়া গাজীর স্ত্রী ময়না খাতুনকে ৮০৬ নং ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এছাড়া ওই এলাকার হাওলাদার রুস্তম আলীকে তালিকার ৮০১ নং ক্রমিকে ব্যবসায়ী হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইকরাম হাওলাদারের নাম তালিকার ৮০৭ নং ক্রমিকে রাখা হয়েছে। তার ছেলে পুলিশে চাকুরী করেন। জোসনা বেগমের নাম ৮১০ নং ক্রমিকে রাখা হয়েছে। তিনি এলাকার সুদের ব্যবসা করে মাসে মাসে মোটা অংকের টাকা পান। ইব্রাহিম মল্লিকের নাম রয়েছে তালিকার ৮১২ নং ক্রমিকে তিনি ৫/৬ বিঘা জমির মালিক। তাপস শীলের নাম রয়েছে ৮১৯ নং ক্রমিকে তিনি পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। শওকত মোল্যার নাম ৮৩৯ নং ক্রমিকে রয়েছে । তিনি একজন ব্যবসায়ী। শেখ হায়দার আলীর নাম ৪৪৩ নং ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তিনি ২০/২৫ বিঘা জমির মালিক। তাছাড়া তিনি মংলার সেনা কল্যাণ সংস্থায় চাকুরী করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।