DailySangram-Logo

অন্যান্য খেলা

এনএসসি কর্মকর্তা সেরনিয়াবাতকে বাধ্যতামূলক অবসর

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত। সম্প্রতি তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন। তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের ওপর তদন্ত চলছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্মকর্তা/কর্মচারী বিধিমালা-১৯৯৫ ও ১৯৭৪

Printed Edition

স্পোর্টস রিপোর্টার: জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন রশিদুজ্জামান সেরনিয়াবাত। সম্প্রতি তিনি সাময়িক বরখাস্ত হন। তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের ওপর তদন্ত চলছিল। সেই তদন্ত প্রতিবেদনের পর্যালোচনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্মকর্তা/কর্মচারী বিধিমালা-১৯৯৫ ও ১৯৭৪ সালে পাবলিক সার্ভিস অ্যাক্টের আলোকে সেরনিয়াবাতকে জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করেছে এনএসসি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, এনডিসি বুধবার এই সংক্রান্ত একটি আদেশ স্বাক্ষর করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব ছিলেন সেরনিয়াবাত। যদিও তার এনএসসির চাকরি শুরুটা হয়েছিল ১১তম গ্রেডে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে। পরবর্তীতে তিনি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হিসেবে যোগদান করেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে সেই পদে স্থায়ীকরণের কোনো আনুষ্ঠানিক পত্র নেই। এনএসসি চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব থাকাবস্থায় ঠিকাদারদের কাজ পাওয়া, আত্মীয়কে এনএসসিতে চাকরি দেয়াসহ অনেক অভিযোগ ছিল তার বিপক্ষে। সেগুলো খতিয়ে দেখেছে তদন্ত কমিটি।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব হলেও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবেও নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করেছিলেন সেরনিয়াবাত। আরচ্যারি ফেডারেশনের সহকারী সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, পাশাপাশি আরও কয়েকটি ক্রীড়া ফেডারেশন/এসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন সময়। তার অতিরিক্ত বিদেশ সফর নিয়েও ছিল নানা প্রশ্ন। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এনএসসিতে অনেক রদবদল হয়েছে। সেরনিয়াবাতকে বদলি করে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়ামের প্রশাসক করা হয়। এরপর থেকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছিল তাকে। অভিযোগের তদন্ত পর্যালোচনার পর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে সেরনিয়াবাতকে বাধ্যতামূলক অবসরে প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।