ক্রিকেট
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ গর্জন করতে প্রস্তুত---অধিনায়ক শান্ত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠছে আজ। স্বাগতিক পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপি। পরদিনই শুরু বাংলাদেশের যাত্রা। এর আগে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ।
Printed Edition
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের পর্দা উঠছে আজ। স্বাগতিক পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রপি। পরদিনই শুরু বাংলাদেশের যাত্রা। এর আগে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দুবাইয়ের আইসিসি একাডেমি মাঠে ২০২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৩৪.৫ ওভারে এই রান তাড়া করে পাকিস্তান শাহিনস। বাংলাদেশ হারে ৭ উইকেটে। ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন শান্ত। ২১ বলে করেন ১২ রান। এ নিয়ে আক্ষেপ দেখা গেল না বাংলাদেশি অধিনায়কের মধ্যে। এসবের অবশ্য তোয়াক্কা করছেন না অধিনায়ক শান্ত। বার্তা দিলেন গর্জনের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকেই নজর এবার বাংলাদেশের। এমন বার্তাই দিলেন নিজের ফেসবুকে। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ছবি পোস্ট করেন অধিনায়ক শান্ত। যেখানে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জার্সি গায়ে ব্যাট হাতে দেখা যায়। ছবির ক্যাপশনে তিনি বাঘ ও ক্রিকেটের ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের বাঘেরা গর্জন করতে প্রস্তুত, ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কাঁপিয়ে দেব। তৈরি হও বিশ্ব, একটা ঝড় আসছে!’ বাংলাদেশকে নিয়ে পোস্ট করেছে আইসিসিও। যেখানে তারা সূর মিলিয়েছে শান্তর সঙ্গে। নিজেদের ফেসবুকে শান্ত, জাকের আলী অনিক, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ছবি দিয়ে আইসিসি লিখেছে, ‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গর্জন করতে প্রস্তুত।’ অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গত আট আসরে বাংলাদেশের উপস্থিতি ছিল পাঁচ আসরে। মাত্র দুই জয়ের পরিসংখ্যান খুব বেশি আধিপত্যের প্রমাণ দিচ্ছে না। তবে সাত বছর আগে সেমিফাইনাল খেলাটাই এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক আসরে সেরা সাফল্য। এবার তা টপকে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ফিরে দেখতে চাই বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাস। সেরা আটে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স অংশ নেয়া নিশ্চিত বাংলাদেশের। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হওয়া এখনও অলীক স্বপ্ন। এবার সে আশা দেখিয়ে গেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ইতিহাস ঘাটলে অবাক হতে হয় না। কেননা আট বছর আগে যেখানে থেমেছিল টুর্নামেন্ট সেখানে সেরা চারে ছিল বাংলাদেশের নাম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেবার বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয়ে সেমিতে উঠেছিল টাইগাররা। আট আসরে পাঁচবার ছিল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব। শেষবারের সেরা সাফল্য বাদ দিলে, তিনবার গ্রুপ থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। আর ২০০০-এ প্রি কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমেছিল লাল-সবুজের দল। এই পাঁচ আসরে মাত্র দুই জয় বাংলাদেশের। হারের সংখ্যাটাই বেশি। নয়টিতে। আর পরিত্যক্ত হয়েছিল এক ম্যাচ। যে দুই জয় এসেছে তার একটি ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আরেকটি কার্ডিফ রুপকথা নামে পরিচিত। ২০১৭ সালে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ'র অবিশ্বাস্য জুটি আর জোড়া সেঞ্চুরি আজও বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচ হিসেবে পরিচিত। ঐ ম্যাচ জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ এবারও আছেন। আছেন সেই স্কোয়াডের আরও পাঁচজন। আট বছর পর যারা বাংলাদেশের কান্ডারি। অভিজ্ঞতার প্রতিমূর্তি। মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার ব্যাটিংয়ে, অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে আছেন দুই পেসার মুস্তাফিজ ও তাসকিন। ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে তারা। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে শান্তর দল।