ক্রিকেট
পর্দা নামলো বিপিএলের এগারতম আসরের
গত ৩০ ডিসেম্বর পর্দা ওঠে এগারতম বিপিএলের। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হয় এবারের আসরের।
Printed Edition
স্পোর্টস রিপোর্টার: গত ৩০ ডিসেম্বর পর্দা ওঠে এগারতম বিপিএলের। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হয় এবারের আসরের। অবশেষে গতকাল সন্ধ্যায় ফরচুন বরিশাল বনাম চিটাগং কিংস এর মধ্যেকার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামে এবারের বিতর্কের বিপিএলের। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় ফাইনাল মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল-চিটাগং কিংস। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফাইনাল ম্যাচটি চলছিল। গতকাল টস হারলেও আগে ব্য্টা করার সুযোগ পায় চিটাগং কিংস। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বরিশালের সঙ্গে চিটাগং লড়াই করতে নামে প্রথম শিরোপার জন্য। এর আগে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠেছিল, ১১ বছর পর তাদের সামনে আবার ছিল শিরোপা জয়ের হাতছানি। জমজমাট লড়াইয়ে ফাইনালে নাম লেখানো চিটাগংকে কৃতিত্ব দিয়েছেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘মাঠের ক্রিকেটে তারা প্রমাণ করেছে তারা ডিজার্ভিং। এমন না যে শুধু সেমিতে এসে খেলেছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ খেলেছে। ম্যানেজমেন্টের অনেক কৃতিত্ব পাওনা।’ টুর্নামেন্টে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিক বরিশাল। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে স্কোয়াডের শক্তিও বেশ। ফাইনালের আগে যোগ দিয়েছেন কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম। তাতে শক্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। সেই তুলনায় চিটাগং কিংস পিছিয়ে আছে। তবে এমনটা মানতে চাননি তামিম। এবার মাঠের বিপিএলে ছিল রান উৎসব, দর্শকদের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া, টিকিট বিক্রির আয় গড়েছে রেকর্ড; সবমিলিয়ে বিপিএল নিয়ে সমালোচনা যেমন ছিল তুঙ্গে, তেমনই বাইশ গজের লড়াই নিয়ে আলোচনাও ছিল অনেক। ফাইনালে নামে লেখানো চিটাগংয়ে গায়েও লেগেছে বিতর্কের দাগ। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পাওনা বুঝিয়ে না দেওয়ায় বারবার শিরোনামে এসেছে। তবে দলটির কোচ টেইটের দাবি এসবে কোন প্রভাব পড়েনি,‘স্কোয়াডের মধ্যে আমরা বিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। ম্যাজিক হতেই পারে। ভালো জিনিস হলো, টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা খুব বেশি কিছু পরিবর্তন আনিনি। আমরা এভাবেই টুর্নামেন্টে খেলেছি। কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা আছে। তবে আমার মনে হয়, আমরা এখানে থাকার যোগ্য।’ সবমিলিয়ে চ্যালেঞ্জিং ফাইনালের প্রত্যাশা ছিল চিটাগংয়ের অস্ট্রেলিয়ান কোচ টেইট ,‘আমি মনে করি, সেরা দুই দলের মধ্যেই খেলা হবে। এটা অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। এর আগেও আমরা ক্লোজ কিছু ম্যাচ খেলেছি। এটা যেকোনো দিকেই যেতে পারে। তবে ফাইনাল ম্যাচে আমরা চ্যালেঞ্জ প্রত্যাশা করছি। বরিশাল খুবই ভালো দল। তাদের দলে ভালো কিছু খেলোয়াড় আছে। আমি মনোযোগটা আমাদের মধ্যেই রাখতে চাই।’ ফাইনালের আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রকাশ করেছে এবারের বিপিএলের প্রাইজমানি। গত আসরের তুলনায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের জন্য অর্থ পুরস্কার বেড়েছে। এছাড়া টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এবারই প্রথম তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান অধিকারী দলও অর্থ পুরস্কার পায়। পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি, সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় ও সেরা ফিল্ডারের জন্যও ছিল অর্থ পুরস্কার।
প্রাইজমানির বিবরণ
চ্যাম্পিয়ন দল: ২.৫ কোটি টাকা।
রানার্সআপ দল: ১.৫ কোটি টাকা।
তৃতীয় স্থান (খুলনা টাইগার্স): ৬০ লাখ টাকা।
চতুর্থ স্থান (রংপুর রাইডার্স): ৪০ লাখ টাকা।
টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড়: ১০ লাখ টাকা।
ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়: ৫ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক: ৫ লাখ টাকা।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি: ৫ লাখ টাকা।
সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়: ৩ লাখ টাকা।
সেরা ফিল্ডার: ৩ লাখ টাকা।