শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

তানভীরের ওপর দোষ চাপালেন জেসমিন

সংগ্রাম ডেস্ক : সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (সাবেক শেরাটন) শাখা থেকে ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম। বাংলানিউজ।

রিমান্ডের প্রথম দিনে জিজ্ঞাসাবাদে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জেসমিন জানিয়েছেন, হলমার্ক গ্রুপে কাগজে-কলমে শুধু চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। প্রতিষ্ঠানের অনেক বিষয়ে তিনি অবগত নন। গ্রুপের নিয়মিত বৈঠকেও তিনি উপস্থিত থাকতেন না। কোনো বিষয়ে প্রয়োজন হলে তার স্বামী তার

কাছে কাগজপত্র নিয়ে আসতেন, তিনি স্বাক্ষর করতেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রথম দিনের রিমান্ডে গতকাল শনিবার দুদককে এসব তথ্য দেন তানভীরের স্ত্রী হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন। দুদক সূত্র এসব তথ্য জানায়। 

সূত্র জানায়, দুদককে দেয়া জবানবন্দিতে জেসমিন তার স্বামী তানভীরের ওপর দোষ চাপিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তাদের তিনি জানিয়েছেন, তার স্বামী ও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তানভীর মাহমুদ সার্বিক আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতেন। দুদককে তিনি জানিয়েছেন, এতো বড় কেলেঙ্কারির বিষয়ে তিনি অবগত নন।

গতকাল শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে জেসমিন ইসলামকে রমনা থানা থেকে নিয়ে আসা হয়। ১১টা ৫০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা পৌনে সাতটা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

তাকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত টিমের প্রধান ও জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবদীন শিবলী ও সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান।

দুদক সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মূলত: চেয়ারম্যান হিসেবে জেসমিন ইসলামের কি কি দায়িত্ব ছিল,  সোনালী ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ঘটনায় তিনি যুক্ত কি না, তার স্বামী হলমার্কের এমডি তানভীর মাহমুদের সঙ্গে যৌথ অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা কি করা হয়েছে, ঋণ পেতে  কোনো ব্যক্তি বা মহলের সাহায্য নেয়া হয়েছিল কিনা? প্রাথমিকভাবে এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। জেসমিন এসবের সন্তোষজনক জবাব দেননি। তবে, তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এ ঘটনার দায় চাপিয়েছেন স্বামী তানভীরে ওপর।

রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে আজ রোববার আবার জেসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া, একই মামলায় রিমান্ডে থাকা অপর আসামি সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (বরখাস্তকৃত) একেএম আজিজুর রহমান এবং হলমার্কের জিএম তুষার আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তারা অনিয়মের দায় স্বীকার করে

জবানবন্দি দেন। জেসমিন, আজিজুর ও তুষারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত দল। এদিকে, এ মামলার প্রধান আসামি তানভীর মাহমুদ অন্য একটি ফৌজদারি মামলায় রিমান্ডের আওতায় র‌্যাবের অধীনে আছেন বলে জানা গেছে।গতকাল শনিবার তার প্রথম দিনের রিমান্ড সম্পন্ন হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রমনা মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ