শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চসিকের ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের ৯৬০ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ২০১২-২০১৩ অর্থবছরের জন্য ৯৬০ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম মনজুর আলম। নগরবাসীর দেয়া পরিশোধ করা কর ও সরকারি অনুদানকে আয়ের মূল উৎস হিসেবে ধরা হয়েছে এই বাজেটে। আর উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছর এর চেয়ে কম বাজেট ঘোষণা করে মাত্র ৪০ শতাংশ বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার পর নগর ভবনের কেবি আব্দুস সাত্তার মিলনায়তনে আয়োজিত বাজেট অধিবেশনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপনের আগেই তা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পাস করিয়ে নেয়া হয়। এ সময় কাউন্সিলরদের মধ্যে কেউ প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে কোনো বক্তব্য, সংশোধনী কিংবা সংযুক্তি প্রস্তাবও পেশ না করায় বাজেটটিকে পাস বলে ধরে নেন চসিক মেয়র। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডের সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরদের অধিকাংই উপস্থিত ছিলেন না।

২০১১-২০১২ অর্থবছরে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল ৯১৫ কোটি ১৫ লাখ ৬১ হাজার টাকার। বৃহস্পতিবার ওই অর্থবছরে বাস্তবায়িত ৩৬০ কোটি ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও পেশ করা হয়েছে। অর্থাৎ ঘোষিত বাজেটের মাত্র ৪০ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে বলে মেয়র নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে এবার বাজেটের আকার বাড়ানো হয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

ঘোষিত বাজেটে সম্ভাব্য বকেয়া কর বাবদ ৪৩০ কোটি দুই লাখ দুই হাজার টাকা, হাল কর ও অভিকর ধরা হয়েছে ১২৪ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, অন্যান্য খাত থেকে কর আদায় ৭৭ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফিস থেকে ২০ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা, জরিমানা ২০ লাখ টাকা, সম্পদ থেকে অর্জিত ভাড়া ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সুদ বাবদ এক কোটি টাকা, বিবিধ আয় ১২ কোটি ৫ লাখ টাকা এবং ভর্তুকি বাবদ ১০ কোটি ৬৫ লাখ টাকাসহ নিজস্ব উৎস থেকে মোট সম্ভাব্য প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৭২০ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবার সরকারি উন্নয়ন অনুদান প্রত্যাশা করেছে ২১৩ কোটি টাকা। ত্রাণ সাহায্য ৪০ লাখ টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয় প্রত্যাশা করা হয়েছে।

ঘোষিত বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বেতন-ভাতা খাতে ১৪০ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ২৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা, ভাড়া, কর ও অভিকর বাবদ দুই কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ভাতে ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, কল্যাণমূলক খাতে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, টেলিফোন বিল বাবদ ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, অতিথি আপ্যায়নে ৯০ লাখ টাকা, বীমা খাতে ২০ লাখ টাকা, ভ্রমণ ও যাতায়াত খাতে ২০ লাখ টাকা, বিজ্ঞাপন খাতে দুই কোটি ৩২ লাখ টাকা, প্রিন্টিং খাতে দুই কোটি টাকা, পেশাগত ব্যয় এক কোটি ছয় লাখ টাকা, প্রশিক্ষণ ব্যয় পাঁচ লাখ টাকা, বিবিধ ব্যয় দুই কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ভান্ডার খাতে ৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, ত্রাণ বাবদ ৪০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া বকেয়া দেনা পরিশোধে ৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা, স্থায়ী সম্পদ খাতে ১১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং বিবিধ খাতে ৩২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। মেয়রের বাজেট বক্তব্য শেষে খাতওয়ারি বাজেট উপস্থাপন করেন সিটি কর্পোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম।

খাতওয়ারি বাজেট উপস্থাপন শেষে মেয়র সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ