ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

বিরোধীদের কর্মসূচি দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়: খন্দকার মোশাররফ

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: বিরোধীদের কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

তিনি বলেন, বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি দিলে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আওয়ামী লীগের বিদায়ের অগ্রযাত্রা হচ্ছে বিএনপির এ পদযাত্রা। ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে দ্রুত সরকারকে বিদায় দিতে সক্ষম হবো।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী এলাকায় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে এই পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। চারদিনের পদযাত্রা কর্মসূচির আজ ছিল তৃতীয় দিন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিগত দিনে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। পদযাত্রা কর্মসূচিতেও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। সরকারের সময় শেষ, পায়ের নিচে মাটি নেই। বিএনপির কর্মসূচি দেখে আওয়ামী লীগ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।

সরকারের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের জনগণ এ সরকারকে আর দেখতে চায় না। গণতন্ত্র বার বার হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। তাদের জনগণ আর ভোট দিতে চায় না। অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, ব্যাংকে তারল্য (নগদ টাকার) সংকট দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বাড়ায় মানুষ দুর্বিষহ অবস্থায় রয়েছে। বিচার বিভাগে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য অভিযোগ করেন, দলের (বিএনপির) ৩৭ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা রয়েছে। এভাবে মামলার আসামি করে বিএনপিকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার। সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে। দুর্নীতি যারা করে তারা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট।

পদযাত্রার আগে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ। গাতবলী থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রা শেষ হয় মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ