শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রমযানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে আতংক ও উদ্বেগ বাড়ছে

অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পণ্য স্টকের অভিযোগ

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : মাস দুয়েক পরই শুরু হচ্ছে পবিত্র মাহে রমযান । রমযান মাস ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে বিশ্ব মুসলিমের অন্যতম বড় ধর্মীয় বিধান। এটি ব্যবসা-বাণিজ্যেরও মাস বটে। সারা বছর ব্যবসায়ীরা মুখিয়ে থাকে রমযান মাসের জন্য। কবে আসবে রমযান মাস। এ মাসে ব্যবসায়ীদের, বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য ও বস্ত্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা হয় সারা বছরের। এক মাসের বেচাকেনায় ব্যবসায়ীরা প্রচুর মুনাফা ঘরে তোলেন। এ মাসে ভোগ্যপণ্য, জামাকাপড় ইত্যাদির ভোগ/ব্যবহার প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়। সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, খেজুর, ময়দা, ছোলা, চিনি ইত্যাদির বাজার থাকে রমরমা। শপিংমলগুলো সাজে নতুনরূপে গ্রাহকদের স্বাগত জানানোর জন্য। বেচাকেনার এই ধুমের মধ্যেই বয়ে চলে আনন্দের বন্যা। আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই রোজা শেষে অপেক্ষা করে পবিত্র ঈদ উৎসবের জন্য। কিন্তু এবারের চিত্র যেন ভিন্ন। যেখানে নিত্যপণ্য কিনতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ, সেখানে ঈদের আনন্দ হবে কি করে? সেই সাথে মুনাফাখোরদের চরম আধিপত্যতা তো রয়েছেই। রমযান আসলেই পণ্যের দাম বাড়ানোর একটি প্রতিযোগিতাও রয়েছে। সব মিলিয়ে রমযানকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগের যেন শেষ নেই। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের রমযান যেন একটু ভিন্নভাবেই আসছে। করোনার কারণে গেল দুবছর ছিল অস্বাভাবিক। এবার করোনামুক্ত দেশ। কাজেই উৎসাহ-উদ্দীপনা একটু বেশিই থাকার কথা। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। মানুষের আর্থিক অবস্থা আগের মতো সচ্ছল নয়। তেল, গ্যাস, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী। নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো দিশেহারা-কীভাবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সরকারের রাজস্ব আশানুরূপ নয়। ব্যাংকে ব্যাংকে তারল্য সংকট-ক্যাশের অভাব। ডলারের তীব্র সংকট চলছে। টাকা দিয়েও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। ৮৬-৮৮ টাকার ডলারের দাম উঠেছে ১০৬-১১২ টাকায়। সরকার উপায়ান্তর না দেখে আমদানি খরচ কমানোর জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসের আমদানির ওপর নানা বিধিনিষেধ জারি করেছে। বড় বড় ঋণপত্র ‘স্ক্রুটিনি’ করে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থির করেছে, মোটামুটি রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের টাকা দিয়েই আমদানি ব্যবসা চালানো হবে। এতে আমদানির পরিমাণ, ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেশ হ্রাস পেয়েছে। 

এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বরে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ প্রায় ২২-২৩ শতাংশ কমেছে। এ ঋণপত্র খোলা কমেছে মধ্যবর্তী পণ্য, কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার যন্ত্রপাতি, পেট্রোলিয়াম এবং বিবিধ পণ্যের ক্ষেত্রে। শুধু তাই নয়, ঋণপত্র খোলার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রেও। এটাই এখন বড় দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ সামনে রোজা। এখনই ভোগ্যপণ্য আমদানির ঋণপত্র খোলার সময়। এখন ঋণপত্র না খুলতে পারলে পণ্য এসে পৌঁছাবে কবে? দেখা যাচ্ছে, বেশকিছু পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে, কিন্তু ডলারে দাম পরিশোধ করা যাচ্ছে না বলে তা খালাস করা যাচ্ছে না। যেসব ব্যবসায়ী নানা ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি করেছেন, তারা এখন প্রমাদ গুনছেন। তাদের গুণতে হচ্ছে ‘ডেমারেজের’ টাকা। এতে পণ্যের দাম যে আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ঋণপত্র সংকট, ডলার সংকট এমন এক পর্যায়ে গেছে যে, এবারের রমযান উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা যে ব্যবসা করার কথা ভেবেছিলেন, তার আশা ধীরে ধীরে বিলীন হচ্ছে। অবস্থাটা এমন ভয়াবহ যে, জরুরি আমদানি ছাড়া মিলছে না ডলার। ফলে ভোগ্যপণ্যের আমদানি কমায় রমযানের বাজার নিয়ে শঙ্কায় সবাই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোজায় আমদানি পণ্যের বেশি থাকবে ৩০ ভাগ দাম ।

জানতে চাইলে অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. আর এম দেবনাথ  বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ডলারের জোগান কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জরুরি পণ্য ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার ছাড়ছে না। শুধু ভোগ্যপণ্য, শিশুখাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে ডলারের জোগান দেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে অন্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব উদ্যোগে ডলারের সংস্থান করে এলসি খুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার উৎস রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, অনুদান ও বিনিয়োগের টাকা। এসব ক্ষেত্রেই একটা ভাটা লক্ষ করা যাচ্ছে। ডলার সংকট, আমদানি সংকটের কারণে খোলাবাজারে রোজার মাসে ভোগ্যপণ্যের জন্য ৩০ শতাংশ বেশি মূল্য দিতে হবে, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্যপণ্যের দাম দিমুখী। 

আশঙ্কা প্রকাশ করে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেন, পেঁয়াজের ক্ষেত্রে একটা আশার আলো আছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ রোজার আগে/রোজার সময়ে বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। অতএব, কিছুটা স্বস্তি এক্ষেত্রে আমরা পেতে পারি। কিন্তু আদা-রসুনের দাম ইতোমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। বহু ব্যবসায়ী-আমদানিকারক এখনই পণ্য স্টক করতে শুরু করেছে অতিরিক্ত মুনাফার আশায়। বলা বাহুল্য, ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে আমরা ভীষণভাবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল। বাজারে গেলেই দেখা যায় প্রায় প্রতিটি ভোগ্যপণ্য দুই ধরনের-দেশি ও বিদেশি। এর কারণ, আমাদের উৎপাদন এসব ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয়। ফলে ঋণপত্র খুলে এসব আমদানি করতে হয়। ঋণপত্রের জন্য দরকার ডলার। অথচ সেই ডলারই মিলছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনদিকে যাবে? শিল্পের কাঁচামাল দরকার, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও বন্ধ করা যায় না। তিনি বলেন, মধ্যবর্তী পণ্যও আমদানি করা দরকার। ভোগ্যপণ্য তো দরকারই। অথচ এসব আমদানির জন্য যে ডলার দরকার, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের হাতে নেই। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত নিচের দিকে নামছে। বলা হচ্ছে, এখন আমাদের তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণ রিজার্ভ আছে। এটা মোটামুটি সন্তোষজনক পরিস্থিতি। কিন্তু তা আরও নেমে গেলে দুটি ঘটনা ঘটবে। ডলারের দাম আরও বেড়ে যাবে। আবার বিদেশী ব্যাংকগুলো আমাদের দেশীয় ব্যাংকের ঋণপত্র গ্রহণ করতে চাইবে না। বিদেশী ব্যাংকগুলোর ‘গ্যারান্টি’ চাইবে। এতে আমদানির খরচ আরও বেড়ে যাবে। এবং ডলার যদি পাওয়াও যায়, ব্যাংকগুলোকে ‘ক্যাশ’ দিয়ে সেই ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কিনতে হবে।

সূত্র মতে, বহু ব্যাংকের কাছে নগদ টাকা নেই। তাদের আমানত আগের মতো বাড়ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এ কারণে আমানতের ওপর সুদের হারের যে ‘ক্যাপ’ ছিল তা তুলে নিয়েছে। কিন্তু বিপরীতে ঋণের ওপর সুদের হারের ‘ক্যাপ’ তোলা হয়নি। এ অবস্থায় বেশি দরে আমানত নিয়ে কম দরে ঋণ দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলো পড়বে আরও বিপদে। এই যে সংকট দেখা দিয়েছে, এর মধ্যেই পবিত্র রমযান মাস আসছে। ব্যবসায়ীরা যেমন তাদের ব্যবসা নিয়ে, মুনাফা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন, তেমনি ভোক্তারাও আছেন ভীষণ দুশ্চিন্তায়। এবারের রমযান শান্তিতে কাটবে তো? পেঁয়াজ, রসুন, আদা, সয়াবিন, খেজুর, চিনি, দুধ ইত্যাদি ন্যায্যমূল্যে পাওয়া যাবে তো? জামাকাপড়, জুতা-মোজা, শাড়ি-ব্লাউজ ইত্যাদির বাজার লাভজনক থাকবে তো? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থায় একমাত্র ভরসা কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা যদি পর্যাপ্ত ডলার বিশেষ বিবেচনায় না দেয়, তাহলে এবার রোজার বাজারে, ঈদের বাজারে এক মন্দা নেমে আসবে। যারা ধনী-অতিধনী, তারা হয়তো উচ্চমূল্যে জিনিস কিনে রোজায় তাদের চাহিদা মেটাবেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ ও মধ্যবিত্ত পড়বে চরম বিপদে। অথচ উপলক্ষ্যটি সাধারণ নয়-পবিত্র রমযান। বলা যায়, এখনো সময় আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে যদি ডলারের ব্যবস্থা করতে পারে. তাহলে আমদানিকারকরা ঋণপত্র খুলতে পারবে।

তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে আমাদের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে ১০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ছিল স্বল্পমেয়াদি ঋণ এবং বাকিটা ছিল দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। ২০২১ সালে এ বৈদেশিক ঋণ হঠাৎ বেড়ে উন্নীত হয় ৯০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে। এর মধ্যে ১৮ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ছিল স্বল্পমেয়াদি এবং বাকিটা দীর্ঘমেয়াদি। দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরাও বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিয়েছেন। ২০২২ সালের জুন শেষে তাদের মোট বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। বলা বাহুল্য, জিডিপির অনুপাতে বিদেশি ঋণ খুব বেশি নয়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিদেশি ঋণ দিন দিন বাড়ছে। মাত্র চার বছরে দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। এ ঋণের পরিমাণ যেমন ক্রমেই বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ। ৪-৫ বছর পর আসল ও সুদ পরিশোধের পরিমাণ বহু বাড়বে বলে জানা যাচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে, এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে ডলারে, যার প্রবাহ এখন কম। আগামী দিনে খুব বেশি বাড়বে বলে আশা করা যায় না। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এ জন্য বিদেশী ঋণের ক্ষেত্রে এখনই কঠোর অবস্থান নিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। ঋণ পেলেই যে ঋণ নেওয়ার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে, তা বন্ধ করা দরকার। ঋণের টাকা দিয়ে যেসব প্রকল্প করা হচ্ছে সেগুলোর লাভপ্রদতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। অথচ সেসব প্রকল্প থেকে নিয়মিত ও আশানুরূপ রিটার্ন না এলে বিদেশী ঋণ শোধ হবে কী করে? 

এ ছাড়া প্রশ্ন রয়েছে অভ্যন্তরীণ ঋণের ক্ষেত্রেও। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭ সাল এবং ২০২২-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক খাত ও সঞ্চয়পত্র-এই মোট তিনটি খাতে সরকারের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৪ লাখ ১৪ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। ২০১৭ সালের তুলনায় বৃদ্ধির পরিমাণ ৭৪ শতাংশ। দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রচুর পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। এর পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই প্রশ্ন, বৈদেশিক ঋণ এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ যেভাবে বাড়ছে, সরকারি আয় কি সেভাবে বাড়ছে? কীভাবে এসব ঋণ শোধ হবে? বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ বাড়লে মূল্যস্ফীতি তো আরও বাড়বে।

লেখক চপল বাশার বলেন, বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রধান প্রয়োজন খাদ্য-চাল, ডাল, তেল, সবজি। এসব পণ্য যারা ক্রয় করেন, তারা জানেন বাজারের অবস্থা কী। নিম্ন আয়ের মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার ওএমএস (খোলাবাজারে বিক্রি) চালু করেছে। এতে ক্রেতারা কম দামে চাল, ডাল, আটা কিনতে পারেন। ওএমএস ট্রাকের পেছনে মানুষের যে দীর্ঘ লাইন দেখা যায়, তা থেকেই বোঝা যায় পরিস্থিতি কেমন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ক্রেতাদের অনেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন না। কাঁচাবাজারে শাকসবজির অভাব নেই, কিন্তু দাম এখনো নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালে আসেনি। মাছ-মাংস সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা বলেছে, এসব আমিষ খাদ্যের দাম এতটাই বেড়েছে যে বহু পরিবার মাছ-মাংস কেনা বন্ধ করেছে। এতে করে আসন্ন রমযানে যে সংকট আরও বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ