বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

সুন্দরগঞ্জে বর্ষালির ফলন ভাল না হওয়ায় কৃষকরা হতাশ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) সংবাদদাতা : বৈরী আবহাওয়া ও পোকা মকড়ের উপদ্রবের কারণে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বর্ষালির (আউশ ধানের) ফলন ভাল না হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ধান কাটামাড়াইয়ের পর দেখা যাচ্ছে প্রতি বিঘা জমিতে ২ হতে ৩ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় ধানক্ষেতে ফলন বিপর্যয় হয়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৮ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বর্ষালি ধানের চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। এক জমিতে ক্রি-ফলা চাষাবাসে এখন কৃষকরা মরিয়ে হয়ে উঠেছে। সে কারণে বোর ধান কাটার পর পরই বর্ষালি ধানের চাষাবাদ করতে হয়। যথা সময় বৃষ্টি বাদল হলে বর্ষালি ধানের ফলন ভাল হত। কিন্তু চলতি মৌসেিম বৈরী আবহওয়ার কারণে যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল না হওয়ায় ফলন ভাল হয়নি।

শান্তিরাম গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে বর্ষালি চাষাবাদ করেছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় সেচ মটারের মাধ্যমে ক্ষেতে পানি দেয়া, বালাইনাশক প্রয়োগ, পরিচর্যা করা সমমিলে চারা রোপণ থেকে শুরু করে কাটা মাড়াইয় পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে, ধান বিক্রি করে সে খরচ উঠছে না। তিনি বলেন প্রতিবিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭ হতে ৮ হাজার টাকা। অথচ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬ হতে ৭ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এ.কে.এম ফরিদুল হক জানান, অনেক জমিতে এখন ত্রি-ফলা চাষাবাদ হয়। তবে অবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে ফলন একটু খারাপ হয়েছে। যথা সময়ে বৃষ্টি বাদল হলে ফলন আরও ভাল হত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ