শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশে গরু-ছাগল বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে গরু, ছাগল, মহিষ ও হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে। জমির মালিকানা, জমির ব্যবহার, ফসল, কৃষিতে কর্মসংস্থান, কৃষি যন্ত্রপাতির সংখ্যা ও প্রাণিসম্পদের তথ্য জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত এ জরিপ করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কৃষি শুমারি-২০১৯ শীর্ষক এ জরিপ প্রকাশ করা হয়। শুমারির তথ্য প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান।

শুমারিতে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এক বছরে কৃষকের গরুর সংখ্যা বেড়েছে ৩৮ লাখ। ২০১৮ সালে সারাদেশের পল্লি ও শহর এলাকায় গরু ছিল দুই কোটি ৫৬ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় দুই কোটি ৯৪ লাখে। একইভাবে ২০১৮ সালে ছাগলের সংখ্যা ছিল এক কোটি ৬৩ লাখ, যা ২০১৯ সালে হয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ।

প্রকাশিত কৃষি শুমারিতে দেখা গেছে, আলোচ্য বছরে আগের বছরের তুলনায় হাঁস-মুরগির সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১০ কোটি। ২০১৮ সালে হাঁস-মুরগির সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৭৮ লাখ, যা ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ কোটি ৯৪ লাখে। এক বছরে মহিষের সংখ্যা ৯৫ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৯২৬ টিতে। ২০১৯ সালের শুমারি অনুযায়ী খানার সংখ্যা ৩ কোটি ৫৫ লাখ। কৃষি খানা এক কোটি ৬৮ লাখ, কৃষি মজুর খানা ৯২ হাজার। এছাড়া মৎস্যজীবী খানার সংখ্যা ১২ লাখ।

অনুষ্ঠানে জরিপের প্রকল্প পরিচালক আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, দেশে সাধারণ খানার সংখ্যা যে হারে বেড়েছে কৃষি খানা সে হারে বাড়েনি। দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ এক কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার একর। যার মধ্যে অস্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ এক কোটি ৬৪ লাখ ২৩ হাজার একর। এছাড়া স্থায়ী ফসলের জমির পরিমাণ ১৯ লাখ ৭০ হাজার একর।

তিনি বলেন, শুমারির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের শুমারিতে আউশ ফসলের চাষের অধীন জমি কিছুটা কমেছে। তবে আমন, বোরো, আলু, গম, ভুট্টা, পাট ইত্যাদি ফসল চাষের অধীন জমির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ শুমারিতে ফসলের নিবিড়তা ২১৪, যা ২০০৮ সালে ছিল ১৭৩।

কৃষি শুমারি ২০১৯ অনুযায়ী মোট মাছ চাষের জমির পরিমাণ ১২ লাখ ১২ হাজার ১০৭ একর। ব্যবহার ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুকুরে মাছ চাষের জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৬ লাখ ৮১ হাজার একর।

এতে আরও বলা হয়, আলোচ্য সময়ে মোট আবাদি জমি কমেছে শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময়ে অস্থায়ী ফসলের জমি কমেছে শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ। এর মধ্যে আউশ চাষের জমি ২৪ লাখ একর। আমন ও বোরো চাষের জমি যথাক্রমে এক কোটি ১৯ লাখ ও এক কোটি ১০ লাখ একর। এছাড়া গম, পাট, আলু, ভুট্টা চাষের জমির পরিমাণ যথাক্রমে ৮ লাখ, ১৬ লাখ, ১১ লাখ ও ১০ লাখ একর।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ