শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

মধুপুরে বিদ্যুৎ থাকে দিনে ১ ঘণ্টা

টাঙ্গাইল সংবাদাতা: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য, প্রভাবশালী কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নির্বাচনী এলাকা টাঙ্গাইল-১ এর মধুপুরে দিনে ১ ঘন্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছেন প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ যেন সেই রূপকথার সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। অথচ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১/২ ঘন্টা লোডশেডিং থাকার কথা থাকলেও গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ দেয়া হচ্ছে ১ ঘন্টা। 

গত ৩০ আগস্ট আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের মধুপুর জেনারেল ম্যানেজার জানালেন, মধুপুরে ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকবে না। 

ঠিক সেই দিন থেকেই বিদ্যুতের সমস্যা আরও বেড়ে গেলো। তাহলে সেদিন আইন শৃঙ্খলার মিটিং-এ  তিনি কি সবার সামনে প্রহসন করেছেন? দেশের প্রায় সকল জেলা-উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং স্বাভাবিক হলেও মধুপুর এখনও কেন অন্ধকারে নিমজ্জিত?   প্রেসক্লাব মধুপুরের সভাপতি মো.আব্দুল হামিদ জানান, মধুপুরের বরাদ্দকৃত ১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কোথায় গেলো? বরাদ্দকৃত বিদ্যুতে মধুপুর উপজেলায় কমপক্ষে ২০ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকার কথা সেখানে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১ ঘন্টা। 

গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ স্বাভাবিকের সময় যে বিদ্যুৎ বিল ছিলো এখন ২/৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে সেই একই বিল দিতে হচ্ছে। পৌর শহরে বিদ্যুতের বিপরীতে জেনারেটর ব্যবসায়ীগণ গলাকাটা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। যেখানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৫/৭ টাকা সেখানে জেনারেটরের বিদ্যুৎ বিল প্রতি ইউনিট নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকারও উপরে। জেনারেটর মালিকগণ ইচ্ছে মতো বিল তৈরি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রহসন করছেন । 

সাধারণ গ্রাহকগণ বলছেন, বিদ্যুৎ না থাকলে শহরের মানুষ জেনারেটরের সুবিধা পাচ্ছেন কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো বিদ্যুতের অভাবে ধানের জমিতে পানি দিতে পাচ্ছেন না। বিভিন্ন এলাকায় ধানের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। 

দামপাড়া গ্রামের নূরুল ইসলাম জানান, মধুপুর পল্লী বিদ্যুতের এই প্রহসন কবে নাগাদ শেষ হবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারণ গ্রাহকগণ। চাপড়ি বাজারের মো. রহিজ উদ্দিন জানান, আমরা বড় মন্ত্রী পেয়েছি, আওয়ামী লীগের বড় নেতা পেয়েছি, তিনি আবার দলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, আমাদের আর কী লাগে, বিদ্যুৎ চেয়ে ছোট হব কেন?

উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক টাঙ্গাইল- (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনের সাবেক ধানের শীষের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সরকার জানান, ড.আব্দুর রাজ্জাক প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতা হয়ে মধুপুরের জনগণের সাথে প্রহসন করছেন।

 ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুতের মধুপুর জেনারেল ম্যানেজার জানান, আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৪ মেগাওয়াট। আশা করছি, দুএকদিনের মধ্যে এ সমস্যা কেটে যাবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ