শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তামিম ইকবালের ৮ হাজার রান

স্পোর্টস রিপোর্টার: প্রথম বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন টাইগারদের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ওপেনার তামিম ইকবাল। গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে এই অর্জন গড়েন তিনি। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ইনিংসের ২৪তম ওভারে সিকান্দার রাজাকে চার মেরে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তামিম। এতোদিন বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৭ হাজার রানের ক্লাবের সদস্য ছিলেন তিনি। এবার নিজেকে ছাড়িয়ে তামিম প্ৗেছালেন ৮ হাজারি ক্লাব। যেখানে ২২৯ ইনিংস ব্যাট করা তামিমের ১৪টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি আছে ৫৪টি। সব মিলিয়ে বিশ্বের ৩৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ড্যাশিং ওপেনার। বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটারের ওয়ানডেতে সাত হাজার রানও নেই। স্বাভাবিকভাবেই সবার আগে এই মাইলফলকে ঢুকলেন তামিম। এর আগে ৫ হাজার, ৬ হাজার ও ৭ হাজার রানেও বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে সবার আগে নাম লিখিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। সবমিলিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে ৩৩তম ব্যাটার হিসেবে ৮ হাজার রান করলেন তামিম। শুধু ওপেনারদের কথা বিবেচনা করলে, বিশ্বের নবম উদ্বোধনী ব্যাটার হলেন তিনি। তামিমের আগে ওয়ানডেতে ৮ হাজার রান করা ওপেনাররা হলেন শচিন টেন্ডুলকার, সনাৎ জয়াসুরিয়া, ক্রিস গেইল, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, সৌরভ গাঙ্গুলি, ডেসমন্ড হেইন্স, সাঈদ আনোয়ার ও হাশিম আমলা। তামিমের পর রান সংগ্রাহকের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন সাকিব আল হাসান। ৯ সেঞ্চুরি ও ৫০ ফিফটিতে ৩৭.৭৩ গড়ে ৬ হাজার ৭৫৫ রান করেছেন সাকিব। দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩৩ ম্যাচ খেলে ৮ সেঞ্চুরি ও ৪১ হাফসেঞ্চুরিতে ৬ হাজার ৬৯৭ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আর কোনো ব্যাটসম্যান ৫ হাজার রানের গ-ি টপকাতে পারেননি। ৪ হাজার ৬২৯ রান নিয়ে চারে মাহমুদউল্লাহ। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল আছেন পাঁচ নম্বরে। তার রান ৩ হাজার ৪৬৮। তবে গতকাল মাইলফলকে প্রবেশ করার পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তামিম। ইনিংসের ২৬তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে আউট হওয়ার আগে ৮৮ বল থেকে নয় চারের মারে ৬২ রান করেছেন গতকাল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার ইনিংসের শুরুটা বেশ দেখেশুনে করেন। কোনো ঝুঁকি না নিয়ে বলার মান বিচার করে রান তুলতে থাকেন তিনি। যেখানে ৭টি চারের পর ৭৯ বলে ওয়ানডেতে নিজের ৫৪তম ফিফটির স্বাদ পান তিনি। এরপর যখন ৫৭ রানে পৌঁছান, তখন নিজের অর্জনটাকে আরো সমৃদ্ধ করেন তামিম। ৩৭ ইনিংসে তামিম ছুঁয়েছিলেন হাজার রান। এক হাজার রান থেকে দুই হাজারে যেতে তাকে খেলতে হয় আরও ৩৩ ইনিংস। এরপর যত সময় গড়িয়েছে তামিমের রান এগিয়েছে ধারাবাহিকভাবে। তিন হাজারে যেতে ৩২ ইনিংস, চার হাজারে ৩৫, পাঁচ হাজারে ২১, ছয় হাজারে ১৭, সাত হাজারে ২৯ ও আট হাজারের ক্লাবে পৌঁছাতে ২৩ ইনিংস খেলেছেন তামিম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হাজার রান করেন হাবিবুল বাশার সুমন। তার ব্যাটেই রাঙা হয় দুই হাজার রানের মাইলফলক। তিন হাজার রান প্রথমে করেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সাকিব আল হাসান প্রথম চার হাজার রান করেন। এরপর থেকে শুরু হয় তামিমের কীর্তি। পাঁচ, ছয়, সাত ও আট হাজার- প্রতিটি রেকর্ড লেখা হয় তার নামে। 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ