শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাগমারায় মাঠে দুলছে সোনালি ধানের শীষ বেশি ফলনের স্বপ্ন কৃষকের

বাগমারায় মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন আধাপাকা সোনালি ধানের শীষ

বাগমারা (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহীর বাগমারায় মওসুমের ইরি-বোরো ধানের পাকা শীষ দেখে ভালো ফলনের আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা। মাঠের পর মাঠ জুড়ে এখন পাকা সোনালী ধানের দৃশ্য। দুই-তৃতীয়াংশ জমির ধান পেকেছে। পাশ্ববর্তী নাটোরের বিলহালতি ও আত্রাই উপজেলায় ধান কাটা-মাড়া নিয়ে কৃষকরা ব্যস্ত থাকলেও বাগমারা এলাকায় এক সপ্তাহ পর থেকে এসব ধান কাটা-মাড়া শুরু হবে। গত বছর করোনা ভাইরাসের কারণে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। শ্রমিক সংকটে কৃষকের স্বপ্নের ফসল তুলতে অতিরিক্ত মজুরীতে লোকসান গুণতে হয়েছে। তবে এবারে আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ও শ্রমিক সংকট না হলে মাঠ থেকে সময়মত ধান কেটে ঘরে তুলতে পারলেই এলাকার কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাবে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১৬ হাজার ১শত ১৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বালানগর, দেউলিয়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর বীজ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান চাষে প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছিল। এবারে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে গত বছরের থেকে বেশি ধান চাষ ও উৎপাদনে তারা ঝুঁকেছে। উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বালানগর গ্রামের মজিবর রহমান, মফিজ উদ্দিন, আলতাফ হোসেনসহ কয়েকজন কৃষক জানান, জমির ধান পেকে উঠেছে। দু’একজন আগাম জাতের ধান কাটলেও আগামী এক সপ্তাহ পরই পুরা দুমে ধান কাটা-মাড়া লেগে যাবে। এবারে এলাকায় জমির ধান এক সঙ্গে পেকে উঠেছে। ধানের রকম-সকম দেখে ভালো ফলন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন। তবে দেশের বিভিন্ন জেলায় বৈরি আবহাওয়া ঝড়, শিলাবৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এই এলাকার কৃষকরা মৌসুমের বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়া অসময়ে কয়েক দফা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি ও বারনই নদীতে রাবার ড্যাম না তোলায় কৃষকরা বিলের ধান ডুবে যাবার শঙ্কায় ভুগছেন। কৃষকদের অভিযোগ সেচ কাজে এখন তেমন নদীর পানির প্রয়োজন নেই। অধিকাংশ ধান সেচ গভীর নলকুপ ও বাড়ির ইলেকট্রিক পাম্প দিয়ে সেচ দেয়া হয়। তাছাড়া শেষ সময়ে নদীর রাবার ড্যাম ফেলে রাখা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কৃষকদের দাবি একটি মহল নদীতে মাছ ছেড়ে মাছ আহরনের উদ্দেশ্যে রাবার ড্যাম নামাতে দিচ্ছে না। মাছের লাভের চেয়ে কৃষকদের স্বপ্নের ফসল মুছে দিতে চক্রটি অপচেষ্টায় রয়েছেন বলে তারা দাবি করেন। বিলের ধান রক্ষার্থে একাধিক বার রাবার ড্যাম নামানোর আবেদন করেও প্রশাসনের নজরদারিতে কোন কাজ হয়নি বলে তারা অভিযোগ তুলেছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ