ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

সংসদে গণমাধ্যমকর্মী এবং ডিজিটাল চেক জালিয়াতির বিল উত্থাপন

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: সাংবাদিক ও অন্য কর্মচারীর চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে “গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২” এবং ডিজিটাল চেকের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান রেখে “পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম বিল, ২০২২” বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ মার্চ) বিল দুটি পৃথকভাবে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়।

গণমাধ্যমকর্মী বিল

সাংবাদিক ও অন্য কর্মচারীর চাকরির সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে “গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২” তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসাম মাহমুদ বিলটি উত্থাপন করেন। এরপর তা সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলে গণমাধ্যম ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের শ্রমিকের পরিবর্তে কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিধান রয়েছে।

মজুরি বোর্ড প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকসহ সব গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য হবে।

বিল অনুযায়ী, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের সময় সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩৬ ঘণ্টা হবে। নৈমিত্তিক ছুটি হবে ১০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন এবং অর্জিত ছুটি হবে বার্ষিক ৬০ দিনের পরিবর্তে ১০০ দিন।

এ ছাড়া উৎসবের ছুটি থাকবে বছরে ১০ দিন। বিনোদন ছুটি প্রতি তিন বছর পর এক মাসের জন্য এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকবে ছয় মাস।

কেউ বা সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে ৫০ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, “কেউ বা কোনো সংস্থা বিলের বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে আর্থিক জরিমানা বা কারাদণ্ড দেওয়া হবে”।

২০১৮ সালের ১৫ অক্টোবর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল ২০২২–এর খসড়া অনুমোদন দেয়।

ডিজিটাল চেক জালিয়াতির বিল উত্থাপন

ডিজিটাল চেকের মাধ্যমে ব্যাংক জালিয়াতির ক্ষেত্রে ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের শাস্তির বিধান রেখে “পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম বিল, ২০২২” বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিলটি উত্থাপন করার পর তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, ব্যাংক জালিয়াতির জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

ব্যাংক বা কোম্পানি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে কোম্পানির মালিক, পরিচালক, প্রধান নির্বাহী, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তাকে অপসারণের বিধান খসড়া আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির কথা বলা হলেও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।

বিলে ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফারের বিধানসহ ৪৭টি ধারা রয়েছে। তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চ্যুয়াল কারেন্সি এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

ক্রিপ্টোকারেন্সি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে অনুমোদিত নয়।

ধারা ৪/৫–এ কীভাবে লেনদেন পরিচালিত হবে, অর্থ প্রদান ও পরিচালনা করা হবে এবং কীভাবে পরিষেবা দেয়া হবে তা সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

খসড়াটিতে বোর্ড ব্যবস্থাপনা, বোর্ডের সদস্য হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম বিনিয়োগ, মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা, পরিদর্শনের ব্যবস্থাপনা এবং পরিষেবার নিয়মগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিধানের মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক উপায়ে তহবিল স্থানান্তর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ডিজিটাল তহবিল ইস্যু করা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ