বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

রিকশার নৈরাজ্যে অনিরাপদ ও গতিহীন হয়ে পড়ছে রাজধানী

মোহাম্মদ জাফর ইকবাল : রাজধানী ঢাকার মূল সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে রিকশা আর রিকশা। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাজধানীর ভিআইপি রোডেও রিকশার আধিপত্য লক্ষণীয়। এছাড়া সড়কের ডানে-বাঁয়ে এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায় বিভিন্ন সময়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে রিকশা। রিকশার নৈরাজ্যে বিশৃঙ্খল, অনিরাপদ ও গতিহীন হয়ে পড়ছে রাজধানী ঢাকা। প্রতিনিয়ত হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও এ নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয় না শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে। জানা গেছে, রিকশার নৈরাজ্য ঠেকাতে লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন বলছে, লাইসেন্স করা সম্ভব হলে রিকশা নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। 

নগর-পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক আকতার মাহমুদ বলেন, যান্ত্রিক বাহনের সঙ্গে একই রাস্তায় রিকশা চলছে। ভিন্ন গতিবেগের কারণে সব বাহনের গতিই কমে যায়। এতে গাড়ি বেশিক্ষণ রাস্তায় থাকে এবং যানজট তৈরি হয়। তিনি বলেন, গণপরিবহন চলে এমন রাস্তায় রিকশা না চলাই ভালো। প্রধান সড়কে না চলে রিকশা চালাতে হবে পাড়ামহল্লা ও ছোট সড়কে। কিন্তু বাস্তবে ভিআইপি রোড, মিরপুর রোড, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, নিউ সার্কুলার রোড, ডিআইটি রোড, রোকেয়া সরণি, টেকনিক্যাল মোড় থেকে মিরপুর ১, প্রগতি সরণি, জহির রায়হান সরণি, নর্থ সাউথ রোডসহ প্রায় সব সড়কেই রিকশা চলছে। অথচ এই সড়কগুলোর প্রতিটিই রিকশার জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যাপক আকতার মাহমুদের মতে, রিকশাই তুলে দেয়া উচিত। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, কায়িক পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে রিকশা চলে, এটা অমানবিক। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত। তবে এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হতে হবে, যাতে এই পেশার সঙ্গে জড়িতরা অন্য পেশায় জড়াতে পারেন। একই সঙ্গে নাগরিকদের চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ঢাকায় যানজট নিরসনে রিকশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ড (ডিটিসিবি) বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও সফলতা আসেনি। এবার সিটি করপোরেশন উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রিকশা নিয়ন্ত্রণের আগে নগরীর লাখ লাখ মানুষ স্বল্প দূরত্বের পথ কিভাবে চলাচল করবেন সেটির ব্যবস্থা করতে হবে সংস্থাটিকে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীতে প্রায় ৮০ হাজার রিকশার লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে ডিএসসিসি এলাকায় ৫৪ হাজার ও ডিএনসিসি এলাকায় ২৬ হাজার। লাইসেন্সধারী রিকশাগুলোর বছরে লাইসেন্স নবায়ন করাতে হয়। এ জন্য সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, রিকশাপ্রতি ১০০ টাকা নবায়ন ফি দিতে হয়।

জানা গেছে, দুই সিটি করপোরেশনের অধীনে লাইসেন্সধারী রিকশার সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার হলেও অবৈধ রিকশা প্রায় ১২ লাখ। এসব অবৈধ রিকশার অধিকাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে ঢাকা বিভাগ রিকশা ও ভ্যান মালিক সমিতি, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, মহানগর রিকশা মালিক লীগ, রিকশা ও ভ্যান মালিক-শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ রিকশা ও ভ্যান মালিক ফেডারেশন, জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ রিকশা মালিক লীগ, রিকশা এবং শ্রমিক-মালিক লীগ, ঢাকা সিটি মুক্তিযোদ্ধা রিকশা-ভ্যান মালিক কল্যাণ সোসাইটিসহ নামে বেনামে সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীতে ১১ লাখ অবৈধ রিকশা থাকলেও মাত্র ৭৯ হাজার ৫৫৪টি রিকশার বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। ঢাকায় রিকশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ নজরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, আয়তনের দিকে বিশ্বের ঘনবসতি শহরগুলোর মধ্যে রাজধানী ঢাকা অন্যতম। এই শহরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে রিকশা চলাচলের কথা নয়। রিকশা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। প্রধান সড়কে রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।

যানজটে নাকাল নগরবাসীকে মুক্তি দিতে বেশ কয়েক বছর আগে রাজধানীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা-ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি নিষিদ্ধ করে ডিএমপির ট্র্যাফিক বিভাগ। এরপরও রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা, ফার্মগেট, গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নামে রিকশা চলছে। পায়ে চালিত রিকশার পাশাপাশি মোটর চালিত রিকশা চলছে দেদারছে।

রিকশার লাইসেন্স দিতে সিটি করপোরেশনে নতুন করে দুই লাখের বেশি আবেদন জমা পড়ছে। এক লাখ ২০ হাজার রিকশার লাইসেন্স বিতরণ করা হয়েছে। রিকশার লাইসেন্সের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুই লাখ রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর যানজট নিরসনের বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবসম্মত নয়, প্রকল্পসর্বস্ব। এ কারণেই যানজট নিরসনে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ থেকে সফলতা আসছে না। রিকশার কারণে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের গতি আসছে না। চলতে গিয়ে রিকশার ভিড়ে আটকে যায় গাড়ি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যও বলছে, এক দশকে ঢাকায় যানবাহনের গড় গতি ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার থেকে নেমে এসেছে মাত্র সাত কিলোমিটারে। কয়েক বছরের মধ্যে তা ঘণ্টায় চার কিলোমিটারে চলে আসবে, যা হাঁটার চেয়েও মন্থর।

সিকি শতাব্দী ধরে নিবন্ধন বন্ধ থাকলেও ভোটের রাজনীতি ও ২৫টি সংগঠনের বাণিজ্যে ১২ লাখেরও বেশি অবৈধ রিকশা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজধানীর রাজপথে। সিটি কর্পোরেশন দুই ভাগ হওয়ার পর প্রথম নির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই মেয়রেরই প্রতিশ্রুতি ছিল নগরবাসীকে ‘ক্লিন ঢাকা’ উপহার দেয়া। উত্তর সিটির মরহুম মেয়র আনিসুল হক অভিজাত এলাকায় রিকশা নিয়ন্ত্রণে সফল হলেও দক্ষিণে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিন ঢাকার জন্য নয়, যানজট নিয়ন্ত্রণ তথা নগরবাসীর ভোগান্তিতে কমাতে রিকশা নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। 

১৯৩৮ সালে কলকাতা থেকে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ঢাকায় আনা হয়েছিল রিকশা। কলকাতা পৌরসভা রিকশাকে ‘অমানবিক যান’ ঘোষণা করেছে। পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন শহরে যানজট ও বিশৃঙ্খলা কমাতে রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ ঢাকায় রিকশার সংখ্যা বাড়ছেই। কোনো ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ না থাকার পরেও গ্রাম থেকে রাজধানীতে এসেই এলাকাভিত্তিক গ্যারেজের সূত্র ধরে রিকশার চালক বনে যাচ্ছে শত শত মানুষ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল ইএনএফপিএর পরিসংখ্যান মতে, দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ, ঢাকায় এই হার ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ হিসাবে প্রতিদিন রাজধানীতে গড়ে বাড়ছে ১৭০০ মানুষ। এই বাড়তি মানুষের একটি অংশ ভূমিহীন, যাদের অল্প জমি আছে বাড়তি আয়ের জন্য তারাও ঢাকায় আসছে। কৃষিকাজ ছেড়ে শহরে এসে তার একটি অংশ বনে যাচ্ছে রিকশাচালক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হিসাবে, ঢাকায় রিকশার চেয়ের রিকশা চালকের সংখ্যা দ্বিগুনের কাছাকাছি। অর্থাৎ ১৫ লাখেরও বেশি। 

উইকিপিডিয়া সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪১ সালে ঢাকায় রিকশা ছিল ৩৭টি। ১৯৪৭ সালে বেড়ে হয়েছিল ১৮১টি। সে সময় বিদেশ থেকে ঘোড়ার গাড়ির সঙ্গে রিকশাও আনা হয়েছিল। রিকশা নিয়ে ঢাকাবাসীর ব্যাপক কৌতুহলও ছিল সে সময়। কৌতুহলের সেই রিকশা ঢাকাবাসীর জন্য যন্ত্রণাদায়ক হবে কে জানতো। ঢাকার রাস্তায় ১৯ ধরনের যান্ত্রিক যানবাহনের সঙ্গে একই রাস্তায় চলছে রিকশা, রিকশাভ্যান, ঠেলাগাড়ির মতো অযান্ত্রিক যানবাহন। সাথে যোগ হয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক। এসব মিশ্র পরিবহন যান চলাচল করছে লেন, বিধি না মেনেই। এতে করে সড়কে দুর্ঘটনার হার বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী, রাজধানীর রাস্তায় সর্বোচ্চ দুই লাখ ১৬ হাজার গাড়ি চলতে পারে। সেখানে ঢাকায় চলছে ১২ লাখের ও বেশি রিকশা। অর্থাৎ সব ধরনের যান্ত্রিক গাড়ির চেয়েও বেশি হারে রিকশা চলছে। রাজধানীর যানজটের এটা একটা প্রধান কারণ।

পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা ও এর আশপাশে এক কোটি ৭০ লাখ বা তার কিছু বেশি মানুষের বসবাস। এক সমীক্ষার হিসাবে, ঢাকায় রিকশার যাত্রী ২০ লাখ ৬০ হাজার। কোনো আদর্শ মহানগরীতে আয়তনের ২৫ শতাংশ সড়ক থাকতে হয়। ঢাকা মহানগরীতে আছে প্রায় ৭ শতাংশ। মহানগরীর দুই হাজার ২৮৯ কিলোমিটার সড়ক আছে। প্রধান প্রধান সড়কের মধ্যে যন্ত্রচালিত গাড়ি চলাচল করতে পারে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সড়কে। দখল, অপ্রশস্ততা, নির্মাণ সামগ্রীর কারণে ব্যবহার করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে ৯৬ শতাংশ সড়কেই বড় গাড়ি চলতে পারে না। সরকারের আরএসটিপির সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানীর প্রধান সড়ক, বাইলেনসহ বিভিন্ন সড়কের ৯৫ শতাংশেই রিকশার আধিক্য থাকে। নগরীতে রিকশার সংখ্যা কতো এর কোনো সঠিক হিসাব নেই কারো কাছে। রাজউকের মাস্টার প্লান অনুযায়ী ঢাকায় রিকশার সংখ্যা ৫ লাখ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নগরীতে রিকশার সংখ্যা ৫ লাখেরও বেশি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঢাকায় এখন রিকশার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে ৮০ হাজারেও বেশি মোটরচালিত রিকশা। সাথে আরও ৮০ হাজার আছে ইজিবাইক।

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, রিকশা চলছে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেমপ্লেট লাগিয়ে। একেক এলাকায় একেক সংগঠনের ব্যানারে রিকশা চলে। প্রতিদিনই ঢাকার রাস্তায় শত শত রিকশা নামছে। আগে সাধারণ রিকশা নামানো হলেও এখন মোটরচালিত রিকশাই বেশি নামছে। নগরীতে চলাচলের জন্য রিকশার লাইসেন্স বা নম্বরপ্লেট প্রদানের এখতিয়ার একমাত্র ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের। অথচ সেই নিয়ম অমান্য করে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এবং পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন সংগঠনের নামে রিকশার নম্বরপ্লেট বিতরণ চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিকলীগের ব্যানারে শুরু হয় রিকশার নম্বরপ্লেট বাণিজ্য। ইতিমধ্যে কয়েকটি সংগঠন নম্বরপ্লেট বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে ইনসুর আলীর নেতৃত্বাধীন সংগঠন জাতীয় রিকশা শ্রমিক লীগের ব্যানারে ৬০ হাজারেরও বেশি রিকশা চলছে রাজধানীতে। এছাড়া রিকশা কেন্দ্রীক মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সংখ্যা ৩৫/৪০টির মতো। এর মধ্যে ১৮টি সংগঠনের নামে রিকশার নম্বরপ্লেট ব্যবহার হয়ে আসছে। এসব সংগঠন বিভিন্ন সরকারের আমলে নির্দিষ্ট নম্বরপ্লেট বিতরণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত বলে দাবি করে। যেমন-১৯/ডি টোলারবাগ মিরপুরের ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক সমিতি। সিটি কর্পোরেশনের বাতিলকৃত ৮ হাজার ৫শ’ ৪৪টি রিকশার নেমপ্লেট বিতরণের ক্ষমতাপ্রাপ্ত এই সংগঠনের নামে হাজার হাজার রিকশা চলছে নগরীতে। যাত্রাবাড়ীর বাংলাদেশ রিকশা ভ্যান মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। এই সংগঠনও ৪৩ হাজার রিকশা ভ্যানের নম্বরপ্লেট ছাপিয়ে বিতরণ করেছে। রিকশা চোর প্রতিরোধের নামে এই সংগঠনের নেতারা বহু বছর ধরে চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আরেক সংগঠনের নাম মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ। এই সংগঠনের নামেও কিছুদিন পর পর নতুন করে নম্বরপ্লেট ছাপিয়ে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ রিকশা ভ্যান মালিক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ নামের সংগঠনও ৪৩ হাজার নম্বরপ্লেট বিতরণের দাবিদার। এভাবে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে নম্বরপ্লেট বিক্রিল আড়ালে ক্রমেই বেড়ে চলেছে রিকশার সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন ১৯৮৬ সালের পর রিকশার লাইসেন্স বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু কিছু সংগঠন লাইসেন্স দেওয়ার নামে রিকশামালিকদের কাছ থেকে মাসোহারা আদায় করছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ