ইভিএম বিড়ম্বনা: সাড়ে চার ঘণ্টায় পড়লো মাত্র ১০৯ ভোট
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: সুনামগঞ্জের দুই উপজেলার যে ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে সদরের লক্ষণশ্রীতে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ইভিএমে। নতুন এই ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে ভোটারদের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা, শ্রমজীবী মানুষের আঙ্গুলের ছাপ ক্ষয় হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ভোট প্রদানে ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ভোটাররা।
লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের জানিগাঁও ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ২০৫২ ভোটের কেন্দ্রে দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত ছয়টি ইভিএমে ভোট পড়েছে ৬৫০ টির মতো। একটি বুথে সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ১০৯ টি।
এদিকে, দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে ভোট দিতে কক্ষে ঢুকেন জানিগাঁও গ্রামের কৃষক শামীম আহমদ। কয়েক দফা চেষ্টার পরও তার আঙ্গুলের ছাপ নিতে পারেননি দায়িত্বরত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার। হাত ধুয়ে ভেসিলিন লাগিয়ে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে।
সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার আরিফুল হক জানান, কৃষি কাজ করায় ওই ভোটারের আঙ্গুলের ছাপ ক্ষয় হয়ে যাওয়ায় মেশিন রিড করতে পারছে না। কোনও কোনও ভোটারের ক্ষেত্রে এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি ইতিবাচক আছে বলে জানান তিনি।
একই গ্রামের অন্য একটি মহিলা বুথে সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র ১০৯ টি। ওই বুথের সম্মুখে সকাল থেকে ভোট দিতে আসা মহিলাদের দীর্ঘ সারি রয়েছে। জানিগাঁও গ্রামের ভোটার প্রভা চন্দ জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। সাড়ে ১২টার দিকে চার ঘণ্টা পর তার সামনে আরও দুইজন ভোটার রয়েছেন। এরপর তার পালা।
ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, ভোট গ্রহণের হার কিছুটা কম হলেও ভোট কেন্দ্রে আসা প্রতিটি ভোটারের ভোট গ্রহণ করা হবে। সময় যতক্ষণই গড়াক লাইনে দাঁড়ানো সকলকে ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে।