শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

৬ষ্ঠ দফার দ্বিতীয় দিনে ১৪ সাক্ষ্যের জবানবন্দী সম্পন্ন

কক্সবাজার (দক্ষিণ) সংবাদদাতা: মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার বিচারকার্যে ৬ষ্ট দফা সাক্ষ্য গ্রহণের দ্বিতীয় দিনে ১৪ সাক্ষী তাদের জবানবন্দী দিয়েছেন। আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষক মো. মিজানুর রহমান, মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবির কর্মকর্তাসহ ১৪ জন সাক্ষ্য দেন।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবার) সকাল সোয়া ১০ টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষী মিজান বলেন, আদালতের নির্দেশে লিয়াকতের ব্যবহৃত সরকারি রিভলবারটি আমরা পরীক্ষা করি। পরীক্ষা করে জানতে পারি, লিয়াকতের নামে ইস্যু করা সরকারি রিভলবার থেকে গুলী বের হয়েছে। সেই রিভলবারের গুলীই সিনহার শরীরে পাওয়া গেছে।
মেজর সিনহা হত্যা মামলার ৪৩তম সাক্ষী  মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি রবি’র কর্মকর্তা এহছানুল করিমের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে ৬ষ্ঠ দফার দ্বিতীয় দিনের আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। মঙ্গলবার ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। এসব তথ্য মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিচারকাজের সাথে যুক্ত একাধিক আইনজীবী ও আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলী অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) ১৪ জন সাক্ষী দিয়েছেন। এনিয়ে সর্বমোট ৫৬ জন সাক্ষ্যের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আজকের সকল সাক্ষীই গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সাক্ষী হিসেবে পুলিশ, অস্ত্র পরীক্ষক ও বেসরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয়রা সাক্ষী দিয়েছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯ টায় কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামীকে প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়। তারা হলেন, বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলীতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় সে সময় সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ