শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ইকবালসহ চারজন ৭ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার: কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার তিন সহযোগীরও সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শুনানি শেষে দুপুর ১টায় কালো গাড়িতে তাদের আদালত ভবন থেকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তাদের চারজনকে আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শুনানি শেষে কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ম অবমাননার মামলায় ইকবালসহ চারজনকে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে তিনি সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত চারজন আসামী বলে জানান তিনি। তারা হলেন-ইকবাল হোসেন, আশিকুর রহমান ফয়সাল, হুমায়ুন ও ইকরাম।
এম তানভীর আহমেদ আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার কথা স্বীকার করেছেন। ইকবাল জানিয়েছে, কুমিল্লায় অশান্ত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে তিনি প্রথমে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা এলাকায় যান। পরে সেখান থেকে ট্রেনে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। চট্টগ্রাম গিয়ে ট্রেন থেকে নেমে কিছু পথ হেঁটে, কিছু পথ বিভিন্ন পরিবহনে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে পৌঁছান। ইকবালের সঙ্গে কারা জড়িত এমন প্রশ্নে এম তানভীর আহমেদ বলেন, রিমান্ডে এ বিষয়ে পরিষ্কার হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে তাকে কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দিঘিরপাড় পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন রাখা নিয়ে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় নয় মামলায় ৭৯১ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ