শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

দেশে এখন কেউ ক্ষুধার্ত থাকে না -তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের মানুষ এখন আর ক্ষুধার্ত থাকে না। ক্ষুধার জন্য এখন আর সন্ধ্যার পর বাসি খাবার চেয়ে ডাক শোনা যায় না। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রেও দেশ বহুদূর এগিয়েছে। ৪১ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। এখন সহজে খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আলোকচিত্র অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান তথ্য অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহেনুর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন।
দেশ বদলে গেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আকাশ থেকে ঢাকা শহর চেনা যায় না। আকাশ থেকে চট্টগ্রাম শহরও চেনা যায় না, আজ থেকে ২০ বছর আগে ঢাকার রাস্তায় যারা রিকশা চালাতেন বেশিরভাগের পায়ে স্যান্ডেল ছিল না। এখন খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড়-চোপড় পরা মানুষ দেখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, এ বদলে যাওয়া কোনো জাদুর কারণে হয়নি। এটি হয়েছে শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে। বিধাতার কাছে আমার প্রার্থনা, শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে এ দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে যাক। আমরা যেন তার শতবর্ষ উদযাপন করতে পারি।
নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই
চট্টগ্রাম ব্যুরো : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিদিনের বাগাম্বড় জনগণ শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা হয়ে গেছে। খালি কলসি যেমন বাজে বেশি, বিএনপিও ঠিক সেরকম বেশি বাজে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বাজে, কদিন বিরতি দিয়ে এখন রিজভী সাহেব বাজে, গয়েশ্বর বাবু তালে বেতালে বাজে। এনিয়ে জনগণের মধ্যে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বিএনপি বলছে, সর্বশক্তি নিয়োগ করে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। ২০১৮ সালের আগেও তারা ডান, বাম, অতিবাম সবাইকে নিয়ে ঐক্য করেছিলেন, সেই ঐক্যের শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। দেখা গেছে বিএনপি যাদের নিয়ে ঐক্য করেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্য।
তিনি আরো বলেন, এখনো তারা যে ঐক্যের কথা বলছেন, এই ঐক্য আগে যেমন করেছিলেন, হয়তো  সেরকমই একটা কাগুজে ঐক্য করলেও করতে পারেন। আগে যেমন সেই শক্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে শুধু নয়, দেখা গেছে এই ঐক্যের মধ্যে যারা অংশ গ্রহণ করেছিলেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড অনৈক্য। সেইজন্য আবার তাদের মাঝে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’ নামে আবার কিছু কিছু প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা জহির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, শফিকুল ইসলাম, আকতার হোসেন খাঁন, গিয়াস উদ্দিন খাঁন প্রমুখ।    
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সমগ্র বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, ভিন্ন কথা। কারণ তারা আওয়ামী লীগের সাফল্য, শেখ হাসিনার সাফল্য দেখেও দেখেননা, চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতেও বধির। তারা শোনেও শোনেননা, বুঝেও বুঝেননা, দেখেও দেখেননা, বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেরকম।
তিনি বলেন, নির্বাচন খুব বেশি দিন বাকি নেই। দুবছরের একটু বেশি সময় পরেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যদি সাংগঠনিক পুরো শক্তি দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তাহলে ২০১৮ সালের মতোই ধ্বস নামানো বিজয় ইনশাল্লাহ আমাদের হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ