ঢাকা, শুক্রবার 29 March 2024, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

অল্পের জন্য হারলো মের্কেলের দল, একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউ

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে অল্পের জন্য হেরে গেছে বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের দল। ছোট ব্যবধানে তার দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নকে (সিডিইউ) হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছে মধ্য বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এসপিডি)।

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত নয়টা ১০ মিনিটে প্রকাশিত সাময়িক ফলে দেখা যাচ্ছে সামাজিক গণতন্ত্রী দল এসপিডি বিদায়ী চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের দল সিডিই ‘র চেয়ে ১.২ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছে৷

 

এই ফলে দেখা যাচ্ছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি (২৫.৭ শতাংশ), খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউসিএসইউ (২৪.৫ শতাংশ), সবুজ দল (১৪.৩ শতাংশ), মুক্ত গণতন্ত্রী এফডিপি (১১.৫ শতাংশ), অভিবাসনবিরোধী এএফডি (১০.৫ শতাংশ), বাম দল (৫ শতাংশ) ও অন্যান্য (৮.৫ শতাংশ) ভোট পেয়েছে৷

এছাড়া এফডিপি পেয়েছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এখন সরকার গঠন করতে হলে একটি জোট গঠন করতে হবে।

এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ অবশ্য এর আগে বলেছিলেন, সরকার গঠনে তার দল ভোটে স্পষ্ট রায় পেয়েছে।

সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে ওলাফ শলৎজকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। পরে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভোটাররা একটি ‘বাস্তবধর্মী সরকার’ গঠনে তাকে দায়িত্ব দিয়েছে।

অন্যদিকে অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের আশীর্বাদপুষ্ট সম্ভাব্য উত্তরসূরি আরমিন লাশেট বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ভোট পেলেই জয়ী হওয়া যাবে না। পুরো বিষয়টা এখন ভিন্ন হিসাব।

বুথফেরত জরীপে দুই দলই সমান ভোট পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপ্রত্যাশিত পূর্বাভাস আসছিল এবং এই ফলাফলই যে শেষ নয় এমন ইঙ্গিত আগেই পাওয়া যাচ্ছিল। এখন একটি জোট সরকার গঠনের চাবিকাঠি রয়েছে গ্রিনস এবং এফডিপির হাতে।

দুটি দলের কেউই আলাদা করে চমক না দেখালেও তাদের দুই দলের ভোট একসঙ্গে করলে একটি জোট সরকার গঠনে বড় দুই দলের যে কারো জন্যই সেটি চমক হতে পারে।

তবে তাদেরকে এক ছাদের নিচে আনতে পারাই এখন বড় দুটি দলের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। জোট সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ছোট এই দল দুটিই ৩০ বছরের কম বয়সী জার্মান নাগরিকদের পছন্দ।

সব মিলিয়ে এখন জটিল আকার ধারণ করেছে এই নির্বাচনের ফল।

সিডিইউসিএসইউর চ্যান্সেলর প্রার্থী আরমিন লাশেট বলেছেন, খারাপ ফল সত্ত্বেও একটি নতুন সরকার গঠনের জন্য ‘আমরা যতটুকু পারি’ চেষ্টা করে যাব৷ ‘‘নির্বাচনের এমন ফলে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারি না,’’ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি৷ লাশেট বলেন, ‘‘আমরা রক্ষণশীলদের নেতৃত্বে একটি সরকার গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাব কারণ জার্মানদের এখন এমন জোট প্রয়োজন যেটা আমাদের দেশের আধুনিকায়নের জন্য দরকার৷’’ 

স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়৷ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত৷ আট কোটি মানুষের এই দেশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি৷

ভোটাররা দু'টি করে ভোট দিয়েছেন৷ একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অপরটি পছন্দের দলকে৷ দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংসদে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়৷ তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন তা আজই নির্ধারিত হবে না৷ পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন৷

২৯৯টি সংসদীয় এলাকায় সরাসরি নির্বাচন হয়েছে৷ অন্য আসনগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী মীমাংসিত হয়৷ নিয়ম অনুযায়ী, দলগুলো তাদের ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যাতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেও মনোনীত প্রার্থীদের পার্লামেন্টে পাঠাতে পারে৷ কোনো দল ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে পার্লামেন্টে যাওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে৷

এবারের নির্বাচনে ৪৭টি দল ৬ হাজার ২১১ জন প্রার্থী দিয়েছে৷ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ছয় হাজার৷

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ