শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

আ.লীগ থেকে বহিষ্কার কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন ॥ ঘটনা জানে না ডিএসসিসি

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবিরের নির্দেশে সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাসকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
সম্প্রতি আপত্তিকর এক ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ভুক্তভোগী নারী থানায় এসে চিত্তরঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন দাস।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর চিত্ত রঞ্জন দাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ১৪ অক্টোবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে এক তরুণীকে চিত্ত রঞ্জন দাস শ্লীলতাহানি করছেন এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায় তরুণীকে কাছে টেনে বারবার তাকে জড়িয়ে ধরছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা। ভুক্তভোগী তরুণী তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়ে চিত্ত রঞ্জন দাস জামিন পান।
জামিন পেয়েই চিত্ত রঞ্জন দাস গাড়ি ও মোটর সাইকেলের মহড়া দিয়ে এলাকায় ঢোকেন। তবে তিনি এই মহড়ার ঘটনাটি অস্বীকার করেছেন। বহিষ্কারের চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে গতকাল বিকেলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, চিঠি পাননি। বহিস্কার হয়েছেন তা তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। গণমাধ্যমের কাছে বহিষ্কারের চিঠিটি আছে কিনা চিত্ত রঞ্জন তা জানতে চান।
এর আগে চিত্ত রঞ্জন দাস এই ভিডিওকে নাটকের সংলাপ বলে দাবি করেন। তিনি জানান, তার এলাকার বরদেশ্বরী মন্দিরে এটি চিত্রায়িত। এটি একটি নাটকের মহড়া ছিল।
গত সোমবার ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পর চিত্তরঞ্জন এ বিষয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। যেখানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জনের বিষয়টি তারা দাফতরিকভাবে জানেন না। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে শুনেছেন। ডিএসসিসি এই বিষয়টি অবগত নয় অফিসিয়ালী। তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে হলে তা নেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের হাতেই পুরো ক্ষমতা বলে জানান আবু নাছের।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে গতকাল সন্ধ্যায় ফোন করা হলে তাঁর একান্ত সচিব মো: তানভীর ফোনটি রিসিভ করে জানান, সচিব মহোদয় অসুস্থ। কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তানভীর জানান, স্যার এ বিষয়ে কথা বলবেন না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ