এডিস প্রজনন নিধন করতে প্রয়োজন জনসচেতনতা -চসিক মেয়র
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, এডিস মশার প্রজনন ও এর প্রভাবে ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ প্রতিবছরই হয়। তবে করোনাকালে এর প্রকোপ বৃদ্ধি বাড়তি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই চসিক নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি এডিস মশা বিস্তার প্রতিরোধে বাড়তি পদক্ষেপ হিসেবে দেড় হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও একশ’ স্প্রেম্যান দ্বারা ৪১টি ওয়ার্ডে মাসব্যাপী কার্যক্রম চলমান রেখেছে। বুধবার সকালে মেয়রের কার্যালয়ে বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বাধীন নাগরিক সমাজের এক প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র আরো বলেন, এডিস প্রজনন নিধন করা একা চসিক বা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এডিসের লাভা জন্মায় পরিচ্ছন্ন, স্থির ও জমাট পানিতে। বাসা-বাড়ির আঙ্গিনার নানান স্থানে এ ধরনের জমাট পানি থাকে। এগুলো চসিক বা কোন সংস্থার লোকজন গিয়ে সরানো বা পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। এই কাজটি করতে হবে বাড়ি-ঘরে বসবাসকারী পরিবারকে। বাড়ির ছাদ, কার্ণিস এবং ভেতরের আনাচে-কানাছে বেশি সময় ধরে যাতে পনি জমে না থাকে সেদিকে তাদেরকেই লক্ষ্য রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও চট্টগ্রামে এই প্রকোপ ঢাকার তুলানায় অনেক কম। এ ক্ষেত্রে চসিকের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তবে এটাও জনসচেতনতার ক্ষেত্রে বেশ ঘাটতি রয়েছে। এই দায়িত্বটি গণমাধ্যম ও সচেতন সুশীল সমাজকেই পালন করতে হবে।
বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু ছড়ায় এডিস মশা থেকে। এই এডিস মশা সাধারণ মশার চেয়ে অন্যমাত্রার অভিজাত পর্যায়ের। যত্রতত্র স্থান তাদের পছন্দ নয়। তাই বাসা-বাড়িই তাদের প্রথম পছন্দ। সুতরাং বাসা-বাড়িতে বসবাসকারীরা এই বিষয়টি মাথায় রেখে যদি সচেতন হন তা হলে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পাবে না। আসলে করোনা, ডেঙ্গু বা যে-কোন রোগ-বলাই ছড়ায় মূলত জনসচেতনতার ঘাটতির কারণে। তিনি চসিক মেয়রের উদ্দেশ্যে বলেন, সক্ষমতা অনুযায়ী এডিস নিধনে এখন পর্যন্ত যতটুকু করেছেন তাতে আমরা খুশী। তবে তার পক্ষে আরো বেশি কিছু করা সম্ভব হবে যদি জনবল, সক্ষমতা ও বাস্তবানুগ পরিকল্পনা থাকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন-হাসান মারুফ রুমি, অধ্যাপক মো. আমির উদ্দীন, দিলরুবা খানম প্রমুখ।