বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

গ্রামে ব্যাংকিং সেবা বাড়াতে হবে-----পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রেমিট্যান্স ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে গ্রামে প্রচুর অর্থের প্রবাহ আছে। সে কারণে ব্যাংকগুলোকে গ্রামে সেবা বাড়াতে হবে। 

গত রোববার দুপুরে ইসলামী ব্যাংকের শরীয়া ভিত্তিক ডুয়েল কারেন্সি মাস্টার কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ও প্রিপেইড কার্ড উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ব্যাংকগুলোকে গ্রামমুখী হওয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল এবং বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংক সমূহের সেন্ট্রাল শরী'আহ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন তালুকদার। ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মাস্টারকার্ড সাউথ এশিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার ভিকাস ভার্মা; মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল; ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী ও ওমর ফারুক খান; ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাহের আহমেদ চৌধুরী ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এফ এম কামাল উদ্দীন প্রমূখ। 

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর উপস্থিতি বাড়ানো প্রয়োজন। গ্রামের মানুষ ডিজিটাল ব্যাংকিং, কার্ড ব্যাংকিং ব্যবহার করছে, আমি নিজ চোখে দেখেছি। অশিক্ষিত মানুষ নিজের নাম লিখতে পারে না কিন্তু সে এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারে। আমাদের এই দিকটা মাথায় রাখতে হবে। গ্রামে প্রচুর অর্থ ছড়িয়ে আছে। রেমিট্যান্সের কারণে অর্থের প্রবাহ বাড়ছে। আপনাদের অনুরোধ করবো গ্রামে যে হিউজ ডিমান্ডটা আছে সেটা পূরণে অ্যাজেন্ট ব্যাংকিংও অন্যান্য সেবা নিয়ে যেতে। আপনাদের সরকার সাপোর্ট দিবে। 

মন্ত্রী বলেন, আমরা চাই একটা ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ কোনো মেশিন নয় এটা একটা আইডিয়া। সব কাজ যেন আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে পারি, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছেন। অনেক বাধা সত্ত্বেও আমরা মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করেছি। দক্ষিণ এশিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান আছে। এটা সবাই জানে। এই অঞ্চলের অনেকের সঙ্গেই আমরা প্রতিযোগিতা করছি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো বাড়ি-ঘর এখন বিদ্যুৎ ছাড়া নেই। এই অঞ্চলে আমরাই প্রথম শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছি। এটা আপনাদের বিশাল সহায়তা দেবে। এখন আর গ্রামগুলো বিচ্ছিন্ন নয়, হাজার হাজার সড়ক সেতু নির্মাণ করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, দেশের একটা বড় অংশ সুদ অ্যাভয়েড করে ব্যাংকিং সেবা নিতে চায়। তাদের জন্য ইসলামী ব্যাংক ১৯৮৩ সন থেকে শরীয়া ভিত্তিক সেবা দিচ্ছে। তারা এতোদিন ডিজিটাল ব্যাংকিং, ইন্টারন্যাশনাল ডেবিট কার্ড এসব সুবিধা ব্যবহারে পিছিয়ে ছিল। এখন ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে এসেছে। তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে ভূমিকা রাখছে। ইসলামী ব্যাংক ও মাস্টার কার্ডের এই প্রয়াসের ফলে পেমেন্ট গেটওয়ে নেটওয়ার্ক ও ক্রস বর্ডার ট্রান্সেকশন আরও বিস্তৃত হবে।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড মাস্টারকার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে গ্রাহকদের জন্য ইএমভি-সক্ষম: মাস্টারকার্ড টাইটানিয়াম ও গোল্ড ডেবিট, ওয়ার্ল্ড ও গোল্ড ক্রেডিট এবং প্রিপেইড কার্ড চালু করতে পেরে গর্বিত। আমাদের এই পার্টনারশিপের লক্ষ্য হলো- প্রযুক্তিনির্ভর পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের প্রসার ত্বরান্বিত করা এবং সারাদেশের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও সমৃদ্ধ করা। মাস্টারকার্ডের সর্বাধুনিক ‘কন্টাক্টলেস টেকনোলজি’ আমাদের গ্রাহকদের জন্য আরও নিরাপদ লেনদেন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। মাস্টারকার্ড এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের যৌথ এই উদ্যোগটি আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ানোর মাধ্যমে সম্মানিত কার্ডহোল্ডারদের আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে পারবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ