শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজনীতিতে সক্রিয় না হতেই বিএনপি চেয়ারপার্সনকে নিয়ে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য ‘অরাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত’ বলে নিন্দা জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল সোমবার সকালে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এই নিন্দা জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তো এখানে সবাই দেশনেত্রীর দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য কামনা করার জন্য উপস্থিত হয়েছি মিলাদের মাধ্যমে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের গণতন্ত্রের সঙ্গে একটা অবিচ্ছেদ্য নাম, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার জন্য তার যে সংগ্রাম সেই সংগ্রাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। আজকেও এই মুহূর্তে তিনি সেই সংগ্রামই করে চলেছেন। আমাদের যে অবৈধ সরকার আওয়ামী লীগ যেটা আমাদের বুকের উপর চেপে বসে আছে, তার সাধারণ সম্পাদক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সম্পর্কে একেবারে অরাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বিবর্জিত কথা বলেছেন। আমি তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
গত রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়(বিএসএমএমইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জাতীয় শোক দিবস ১৫ আগস্টের দিন ভুয়া জন্মদিন পালন করে খালেদা জিয়া জাতির সঙ্গে প্রতিবছর তামাশা করেন। ম্যাট্টিকুলেশন সনদ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ৯ আগস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৫, পাসপোর্ট সনদে ১৯ আগস্ট ১৯৪৫। আবার তিনিই দাবি করেন ১৫ আগস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন! একজন মানুষের এতোগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে খালেদা জিয়াই উন্মোচিত করেছেন। অবশেষে করোনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেলো খালেদা জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬।
খালেদা জিয়ার প্রতি সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে একটা মিথ্যা মামলায় যেটা ১/১১ অবৈধ সরকারের আমলে দায়ের করা হয়েছিলো, সেই মামলায় সাজা দিয়ে তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শুধুমাত্র জনগণ থেকে দূরে রাখার জন্য, রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য তাকে অন্তরীণ করে রেখেছে। আমরা দেখেছি কী নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে তিনি প্রায় তিন বছর এই অন্তরীণ একটা অবস্থা তিনি অতিক্রম করছেন এবং এর মধ্যে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই সময়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বলা হয়েছিলো তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেয়ার।সেটাও সরকার তাকে যেতে দেননি।
 এর উদ্দেশ্য হচ্ছে যে, জনগণের নেত্রী তাকে জনগণের সামনে আসতে না দেয়া এবং তিনি যেন রাজনীতিতে সক্রিয় হতে না পারেন সেজন্য ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তারা করছে। আমরা বিশ্বাস করি এই ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। তিনি আবার জনগণের সামনে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই যে ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট দানবীয় শক্তি দেশের মানুষের উপর চেপে বসে আছে তাদেরকে পরাজিত করতে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন। পরে খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির উদ্যোগে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার আরোগ্য, দীর্ঘায়ু ও মুক্তি কামনায় এবং সারাদেশে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফেরাতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে দলের স্থায়ী কমিটির গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন
দোয়া মাহফিলে বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, শামীমুর রহমান শামীম,তাইফুল ইসলাম টিপু,মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, আমিরুজ্জামান শিমুল, জেডএম মূর্তজা চৌধুরী তুলা, বিলকিস ইসলাম, রফিক শিকদার, হায়দার আলী লেলিন, ফরিদা ইয়াসমীন, হাসান জাফির তুহিন, মশিউর রহমান বিপ্লব, মহানগরের আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, এসএম জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলের মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদার, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখরা উপস্থিত ছিলেন।  
এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে নয়াপল্টনের নিচ তলার কক্ষে  এবং ফুটপাতে কয়েক’শ নেতা-কর্মী উপস্থিত হয়। দোয়া মাহফিলের পর নেতা-কর্মীরা ‘শুভ শুভ শুভদিন খালেদা জিয়ার জন্মদিন, দেশনেত্রীকে শুভেচ্ছা- স্বাগতম’ ইত্যাদি শ্লোগানও দিতে দেখা যায়।
৭৭ এ পা রাখলেন খালেদা জিয়া : বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৭৭ পা রেখেছেন। তার জন্ম ১৯৪৫ সালে। খালেদা জিয়ার পিতা এস্কান্দার মজুমদারে বাড়ি ফেনীতে হলেও কর্মজীবনের সুবাদে দিনাজপুরে বসবাস করেন তিনি, সেখানেই খালেদা জিয়ার জন্ম হয়। ১৫ আগস্ট তার জন্মদিন থাকলেও করোনা পরিস্থিতিসহ চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থার কারণ দেখিয়ে কেক কাটার কোনো অনুষ্ঠান থেকে বিরত থেকেছে বিএনপি। পরদিন দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে দলের নেতা-কর্মীরা তাদের নেত্রীর জন্য দোয়া করে আসছেন,  যার ব্যতিক্রম এবার হয়নি।
১৯৬০ সালে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়। ১৯৮১ সালে স্বামী প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিএনপির হাল ধরেন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ ও ২০০১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং ২০০৮ সালে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।  তিন বছর কারাবাসের পর গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ৬ মাসের সাজা স্থগিতে মুক্ত হওয়ার পর থেকে অসুস্থ খালেদা জিয়া গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য় চিকিৎসা নিচ্ছেন। কোনো নেতা-কর্মীর সাথে তার সাক্ষাতও নেই। সারাদেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে সোমবার দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর। বিকালে নয়া পল্টনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল এবং শাহজাহানপুরে মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের বাসায় দোয়া মাহফিল ও দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের কর্মসূচি পালিত হয়।
গণটিকার কর্মসূচি আরেকটি তামাশা :  গণটিকার কর্মসূচি আরেকটি তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম ্আলমগীর। তিনি বলেন, আাপনারা দেখুন এতো বড় একটা বৈশ্বিক মহামারী যেটাও তারা(সরকার) সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সেই টিকা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্নীতি করেছে। তারা গণটিকা প্রদানের নামে আরেকটি তামাশা জনগণের সামনে উপস্থিত করেছে। যার ফলে কী হয়েছে? সমগ্র দেশে করোনাভাইরাসের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, লকডাউনের নামে...। অপরিকল্পিত লকডাউনে প্রকৃত পক্ষে তারা এসময়টা বিরোধী দলের ওপরে ক্র্যাকডাউন করেছে। তারা কোনো সভা-সমিতি, কোনো জমায়েত করতে দিচ্ছে না।
নিজেরা কিন্তু ঠিকই সব করে যাচ্ছে : সরকার নিজেরা সবকিছুই করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ইতিহাসকে বিকৃত করবার জন্যে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করবার জন্যে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত অপমানজনক কথা-বার্তা বলছে। এই কথা-বার্তাগুলো বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে ইতিহাসকে বিকৃত করা  এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা। আমরা খ্বু ভালো করেই জানি যখন ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড ঘটে সেই হত্যাকান্ডের পরে কারা ক্ষমতায় এসেছিল্। ক্ষমতায় এসেছিলো আওয়ামী লীগ, তাদেরই নেতা খোন্দকার মোশতাক আহমেদ সেদিন ক্ষমতাসীন হয়েছিলেন এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে নিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়েছিলো শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে- এই কথা আমরা ভুলে যাইনি। তাদেরই সেনা প্রধান সেদিন ছিলো শফিউল্লাহ। তাকে তারা পরবর্তিকালে এমপি বানিয়েছেন এবং সেই সময়ের যারা কুশীলব ছিলেন তাদের প্রত্যেককেই তারা এখন মর্যাদার সঙ্গে তাদের সরকারে অবস্থান দিয়েছেন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেদিন যারা ১৫ আগস্টে তার(শেখ মুজিবুর রহমান) হত্যার পরে বিভিন্নভাবে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে আতাঁত করেছিলো এবং তাদেরকে সাহায্য করেছিলো সেই কর্ণেল তাহেরের নাম কিন্তু তারা একবারও উচ্চারণ করে না। কর্ণেল তাহের সেদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে রেডিও সেন্টারে এসেছিলেন এবং তারপরের দিন বঙ্গভবনে মিটিংও করেছেন। তাদের কথা তারা বলে না। তারা তৎকালীন জাসদের গণবাহিনীর নেতা হাসানুল হক ইনুর কথা একবারও বলেনা তারা। বরং তাকে তারা মন্ত্রী বানিয়েছে। ৭৫ সালে সামরিক আইন জারি করেছিলেন খোন্দকার মোশতাক। এই কথা জনগণের কাছে তারা কখনো বলে না।”
মির্জা ফখরুল বলেন, যে ব্যক্তিটি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, যিনি বাংলাদেশকে পূনর্জন্ম দিয়েছিলেন, যিনি বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পরিণত করবার জন্য একটা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, যিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সেই মানুষের বিরুদ্ধে আজকে তারা কুৎসা রটনা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, এই মিথ্যা প্রচারনা কোনোটাই জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না এবং সত্য ইতিহাস বেরিয়ে আসবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি।
গভীর উদ্বেগ প্রকাশ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাধীন শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জানিবুল ইসলাম জোসি এবং শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শামসুর রহমানকে গত শনিবার রাত থেকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না এবং এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তাদের এখনও পর্যন্ত কোন খোঁজ না পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শামসুর রহমান এবং তাদের নিকটাত্মীয় আলী হায়দার বাপ্পীকে টাঙ্গাইল থেকে ডিবি পরিচয়ে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে আশংকা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় তাদের উদ্বিগ্ন পরিবার-পরিজনসহ আমরাও গভীরভাবে উৎকন্ঠিত। বর্তমান সরকারের আমলে গুমের মতো শিহরিত ঘটনা অহরহ ঘটার কারণে শিবগঞ্জ উপজেলা যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উল্লিখিত নেতাদের নিখোঁজের ঘটনায় এলাকাবাসী, দলীয় নেতাকর্মী এবং পরিবারের সদস্যসহ আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ধরণের অমানবিক ও নিষ্ঠুর ঘটনায় দেশে যে আইনের শাসন নেই তা আবারো প্রমাণিত হলো। সত্যিকার অর্থে আমরা এমন এক রাষ্ট্রে বসবাস করছি যেখানে কোন নাগরিকেরই জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই, মনে হচ্ছে দেশবাসী এক জঙ্গল রাজত্বের অধীনে সবসময় ভয় ও আতঙ্ক নিয়ে দিনাতিপাত করছে। আমি অবিলম্বে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল নেতাসহ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান এবং তাদের পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর আহবান জানাচ্ছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ