শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

১০ বিষয়ে প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি

স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড বেভারেজের সেজান জুস কারখানার ভয়াবহ আগুনে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার কারণ শনাক্তে ১০টি বিষয় প্রাধান্য দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পোড়া কারখানা পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির ডিআইজি ইমাম হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, তদন্তভার পেয়ে বিভিন্ন আলামতসহ মাঠ পর্যায়ে স্বাক্ষ্য ও তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাব্য কারণ শনাক্ত করতে কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করে তদন্ত কাজ চলছে। সিআইডির তদন্তে যেকোনও ব্যক্তি বা সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কাজ সম্পন্ন করার আশা প্রকাশ করেন সিআইডির এই কর্মকর্তা। এর আগে জেলা পুলিশের করা মামলাটির তদন্তভার গত বৃহস্পতিবার সিআইডির কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ সদরফতর। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে সিআইডির তদন্ত দল আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
ইমাম হোসেন জানান, জুস কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন আলামত সিআইডি পুলিশ ইতোমধ্যে সংগ্রহ করেছে। এগুলো ফরেনসিক করা হবে। তদন্তের প্রয়োজনে আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত শ্রমিকসহ উদ্ধার শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে কারণ অনুসন্ধান করা হবে। এত হতাহতের জন্য জন্য কোম্পানির ব্যক্তিগত গাফিলতি কতটুকু ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে। মালিকপক্ষসহ অন্য কারও গাফিলতি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জ উপজেলার কর্নগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড কারখানার ছয়তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর দিন রাতে উপজেলার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় এম এ হাসেম, তার চার ছেলে ও তিন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। এরপর এম এ হাসেম ও তার চার ছেলেসহ আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরই মধ্যে এম এ হাসেমের দুই ছেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান। এই মামলার পর শ্রম আদালতে শ্রম আইনের ৮০ ধারায় প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ডিজিএমের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে জেলা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর কর্তৃপক্ষ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ