শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

লকডাউনে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে এগিয়ে আসুন -অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম

বিশ্বময় করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি মানুষকে আজ আতঙ্কিত করে তুলেছে। করোনার ভয়াবহ তাণ্ডব থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা বাংলাদেশও। গত মার্চ ২০২০ থেকে বাংলাদেশও করোনার প্রকোপ শুরু হয়। করোনা মোকাবেলায় কোন ব্যবস্থাই কার্যকর হচ্ছেনা। বিকল্প পন্থা হিসাবে দেয়া হচ্ছে একের পর এক লকডাউন। এই লকডাউনের কারণে মানুষের মৌলিক চাহিদা আজ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সতরাং এই লকডাউনে প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারসহ সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসতে হবে।
গতকাল রোববার করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান।
অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম আরো বলেন, একের পর এক লকডাউনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আজ ধ্বংসের মুখে। ব্যবসায়ির ব্যবসা নাই, চাকরিজীবীর চাকরি নাই, স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের উপার্জনও বন্ধ। ছাত্র-ছাত্রীরাও নানা অপরাধে জড়িয়ে পরছে। মানুষ আজ ঘরে বন্দী হয়ে ক্ষুধার জালায় দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। অনেক মানুষ আজ বেকার ও কর্মহীন হয়ে পড়েছে। সরকার যেখানে ঘোষণা করেছিল দেশকে বেকার মুক্ত করে অর্থনিতিতে স্বাবলম্বী হবে; সেখানে আজ মানুষ ক্ষুধার জ্বালায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। মানুষ এখন করোনায় মরলেও না খেয়ে ঘরে বন্দী থেকে মরতে চায়না। প্রত্যেক নাগরিক বিশেষ দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তরা খাবার চায় কর্ম চায়। বেঁচে থাকার জন্য নিম্নতম মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন চায়।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সামনে ঈদ তার উপর লকডাউন। মানুষের মৌলিক যে সকল চাহিদা আছে তা আজ পূরণ হচ্ছেনা। সুতরাং সরকারের পাশাপাশি সমাজের ধনী এবং বিত্তবান শ্রেণীর মানুষেরা অসহায় ও করোনায় আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করীম বলেন, করোনা যেমন আস্তে আস্তে ভয়ংকর হয়ে উঠছে তেমনি মানুষের মৌলিক চাহিদা আজ চরমভাবে লংঘিত হচ্ছে। সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এখনি ভাবতে হবে কিভাবে সব কিছু চালু রেখে, মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করে, অর্থনৈতিকভাবে দেশকে শক্তিশলী করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে করোনা মোকাবেলায় লকডাউনের বিকল্প পথ খুঁজে বের করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ