শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

শাহজাদপুরে মোটাতাজা করা প্রায় দুই লক্ষাধিক ষাঁড় নিয়ে বিপাকে খামারিরা

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : আইগবেড়া গ্রামে ঠাণ্ডু বেপারীর খামারে শতাধিক ষাঁড় কুরবানি হাটের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে দুগ্ধ শিল্পের জন্য বিখ্যাত শাহজাদপুর উপজেলায়  মোটাতাজা করা প্রায় দুই লক্ষাধিক ষাঁড় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরেও ব্যাপকভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাঁড় মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। সারা বছর গরুর পেছনে অর্থ ও শ্রম দিয়ে গরুপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার আশা করছেন এ অঞ্চলের খামারিরা। লকডাউনে উপজেলার বৃহৎ দুটি গরুর হাট তালগাছী ও জামিরতা গরুর হাটে এসব কুরবানির ষাঁড় বিক্রি করতে না পারায় অনেকটা হতাশা লক্ষ করা গেছে খামারি ও গরুব্যবসায়ীদের মাঝে। অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। সঠিক দাম নিশ্চিতে অনলাইনে বিক্রির উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ীতে ১৯৭৩ সালে সমবায়ভিত্তিক রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কারাখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে গড়ে ওঠে সহস্রাধিক গরুর খামার। এসব খামারে মোটাতাজা করা ষাঁড় প্রতি বছরেই দেশের কুরবানির পশুর চাহিদার অনেকটাই পূরণ করছে। অন্য বছর নিয়মিত খামারিদের পাশাপাশি কিছু মৌসুমি খামারি মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর অবৈধ স্টেরয়েড হরমোন ব্যাবহার করে দ্রুত গরু মোটাতাজা করত। কিন্তু এই কাজে জনসচেতনতা ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের তৎপরতার কারণে চলতি বছরে এই প্রবণতা কমে এসেছে অনেকটাই। এ বছর প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খর, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুসি,  খৈল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাঁড় মোটাতাজা করা হয়েছে। উপজেলার আইগবেড়ার ঠাণ্ডু বেপারী বলেন, এবার ঈদে বিক্রির জন্য খামারে ৫০টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হয়েছে। দেশীয় পদ্ধতিতে শুধু সবুজ ঘাস, খড়, গমের ও কালাইয়ের ভুসি, খৈল এবং ফিড খাওয়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি ষাঁড়ের হজমশক্তি বৃদ্ধি ও শারীরিক গঠনের জন্য জিংক খাওয়ানো হচ্ছে। জগতলা  গ্রামের খামারি মানিক বেপারী জানান, তার  খামারে ৩৫টি ষাঁড় মোটাতাজা করা হয়েছে।  গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় আমাদের ষাঁড় মোটাতাজা করার ব্যায় বেড়ে গেছে অনেক। লকডাউনের কারণে গত বছরের মতো এ বছরেও পশুর হাটে ক্রেতা বা পাইকার আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করায় মাথায় হাত খামারি ও ব্যবসায়ীদের। শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও  এ উপজেলার  কয়েক হাজার খামারি প্রায় দুই লক্ষাধিক ষাঁড় গরু মোটাতাজা করেছেন। কৃত্রিম উপায়ে নয় দেশীয় ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন। লকডাউনে কিছুটা ব্যবসার ক্ষতি হলেও সময়মত সব পুষিয়ে যাবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ