শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা না হলে মঙ্গলবার রংপুরে ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি

রংপুর অফিস: আগামী রোববারের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চলাচল বন্ধের সিন্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছেন রিকশা-ভ্যান চালক সংগঠনগুলো। সরকার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে উত্থাপিত ১১ দফা দাবি মেনে না নেয়া হলে আগামী মঙ্গলবার রংপুরে সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। 

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর নগরের শাপলা চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ আলটিমেটাম ও ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দেন জাতীয় শ্রমিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর মহানগর জাতীয় চার্জার রিকশা-ভ্যান চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা।

এ সময় তারা বলেন, সারাদেশে একযোগে ব্যাটারিচালিত চার্জার রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশে ৮০ ভাগ মানুষ দিনমজুর, এরমধ্যে ৪০ ভাগ মানুষ কোনো না কোনো ভাবে থ্রি-হুইলার, অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান চালক ও শ্রমিক। রিকশা-ভ্যান চলাচল বন্ধ করা হলে ৪০ ভাগ মানুষের পেটে লাথি মারা হবে। অনেক পরিবার পথে বসবে। সরকারকে এই ধরণের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে। শ্রমিকদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে হটকারি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হলে বেকার সমস্যা চরমে উঠবে। দিশেহারা মানুষের আর্তনাদে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হবে।  সংবাদ সম্মেলনে, আগামী রোববারের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য আলটিমেটাম দিয়ে শ্রমিক নেতা তোফা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার এবং হয়রানি বন্ধ না করা হলে আগামী মঙ্গলবার সকাল-সন্ধ্যা ধর্মঘট পালন করা হবে। 

তাদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- রংপুর মহানগরে যানজট নিরসনে বিশেষ বিশেষ স্থানে অটোরিকশা ও চার্জার রিকশা-ভ্যানের সংখ্যানুপাতে অটো পার্কিং ও চার্জার রিকশা স্ট্যান্ড স্থাপন করাসহ ফুটপাত খালি করা, নিবন্ধিত অটোরিকশা, চার্জার রিকশা-ভ্যানের ডিজিটাল নম্বর প্লেটে বারকোডের মাধ্যমে মালিক লাইসেন্সের সমস্ত বায়োডাটা স্থাপন করা, পুলিশি অভিযানের পূর্বে মাইকিং করে প্রচারণা চালাতে হবে। 

মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ, সিটি পুলিশ ও অটো রিকশা, চার্জার রিকশা-ভ্যানের শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে নগরীতে ১৪টি চেকপোস্ট স্থাপন, শ্রমিক কল্যান তহবিল চালুকরণ, ভাড়া নির্ধারণ ও ভাড়ার তালিকা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাটানোর ব্যবস্থা, আলাদা লেন নির্ধারণ করা, চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রশিক্ষিতদের লাইসেন্স প্রদান, সড়কে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা, চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা এবং আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় শ্রমিকদের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ