শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

বাংলাদেশে নতুন ক্লিন এনার্জি প্রকল্প চালু করল ইউএসএআইডি

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ অ্যাডভান্সিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গ্রোথ থ্রু এনার্জি (ব্যাজ) নামে পাঁচ বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রকল্পটি সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বাড়াতে এবং স্বচ্ছ ও দক্ষ জ্বালানি বাজার জোরদার করতে অবদান রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি-এর মিশন পরিচালক ডেরিক এস. ব্রাউন এবং বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন প্রকল্পটি উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন।
এই উপলক্ষে আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ ক্লাইমেট মিটিগেশন অ্যান্ড এনার্জি কো-অপারেশন লঞ্চ অফ ইউএসএআইডি ব্যাজ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে জ্বালানি খাতের মূল অংশীদারদের কাছে ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে পরিচালিত ১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পাঁচ বছর মেয়াদি ব্যাজ প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশে সফরকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য দিকগুলো তুলে ধরেছিলেন।
ব্যাজ প্রকল্প সাশ্রয়ী মূল্যের জ্বালানিতে বাংলাদেশের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত করার পাশাপাশি ক্লিন এনার্জি উদ্যোগ, স্বচ্ছ ও কার্যকর জ্বালানি বাজার ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। এই কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো উন্নত জ্বালানি প্রযুক্তির উন্নয়ন, উচ্চ কর্মসম্পাদন ক্ষমতাসম্পন্ন জ্বালানি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশে স্বচ্ছ ও সর্বোত্তম জ্বালানি সংগ্রহের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা।
ব্যাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউএসএআইডি-র বাংলাদেশ মিশন পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে ক্লিন এনার্জি ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে অসাধারণ সুযোগ দেখতে পাই। ব্যাজ প্রকল্পের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাতে প্রবেশাধিকার উন্নত করা এবং স্বচ্ছ ও কার্যকর জ্বালানি বাজার গড়ে তোলা।
ব্যাজ হলো বাংলাদেশে ক্লিন অ্যানার্জি কার্যক্রম জোরদার করা ও নেট জিরো কৌশল বাস্তবায়ন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলজুড়ে এশিয়ার এজ লক্ষ্য অর্জনে ইউএসএআইডি-র প্রধান কার্যক্রমগুলোর অন্যতম। এছাড়াও এটি সম্প্রতি চালু করা ইউএসএআইডি-র অ্যানার্জাইজিং নেট-জিরো এশিয়া উদ্যোগের অংশ যার লক্ষ্য হলো এশিয়াতে নেট-জিরো জ্বালানি গ্রিড প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে তোলা। এতে ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয়ে সাতটি নতুন পরবর্তী-প্রজন্মের ক্লিন এনার্জি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, গবেষক, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিবৃন্দ ও দাতারা অংশ নিয়েছেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ