শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

ফের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাচ্ছে জম্মু-কাশ্মীর!

১৯ জুন, আনন্দবাজার, ইন্ডিয়া টুডে : জম্মু-কাশ্মীর ফের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে কি না, তা নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বদল বৈঠককে নিয়ে এমন গুঞ্জন উঠেছে।  আগামী বৃহস্পতিবার কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদি। ওই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন উপত্যকার নেতারাও। 

গতকাল শনিবার জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) সভানেত্রী মেহবুবা মুফতি বলেন, বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছি এবং আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বৃহস্পতিবারের সর্বদলীয় ওই বৈঠকে এখন পর্যন্ত ৯টি দল আমন্ত্রণ পেয়েছে। মোট ১৬টি দলের নেতারা ডাক পেতে পারেন বলে জানা গেছে।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভায় ‘জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিল’ পেশের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ‘যখন কাশ্মীর বিভক্ত করা হয়েছিল, তখন কোথাও লেখা ছিল না যে ভূস্বর্গ রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে না। সঠিক সময়ে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে জম্মু ও কাশ্মীরকে।’ 

এর পরেই জল্পনা বাঁধে, উপত্যকাটিতে শান্তি ফেরাতে কৌশল বদলাতে পারে বিজেপি সরকার। চলতি মাসে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আগামী নির্বাচনে কংগ্রেস যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। 

এরপর কংগ্রেসের সঙ্গে পাকিস্তানের গোপন আঁতাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। যদিও জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা দিগি¦জয়ের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন।

২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনে লাদাখ এবং জম্মু-কাশ্মীর নামে দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়া হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ