শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে নারীদের ফাঁদে ফেলাই ছিল কাজ

স্টাফ রিপোর্টার : সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, লেখকসহ নিজের নামের পাশে অসংখ্য বিশেষণ ও পদ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে অবশেষে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে এক ব্যক্তি। তার নাম আতিকুর রহমান আতিক (৩৯)। নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সেগুলোর গোপন ভিডিও ধারণ করতো আতিক। সেই ভিডিও কাজে লাগিয়ে সে নারীদের বিভিন্ন অপকর্মে বাধ্য করতো। গত সোমবার র‌্যাব-৪ অধিনায়ক মোজাম্মেল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে আতিকুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়। তার কাছ থেকে একটি ট্যাব, একটি মোবাইল, একটি ওয়াইফাই রাউটার, দুটি আইডি কার্ড, ৫০টি ভিজিটিং কার্ড ও ৫টি হার্ড ফাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতারক আতিকের উত্থান

আতিকুর রহমান আতিক ১৯৮২ সালে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় জন্মগ্রহণ করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ সিদ্ধিরগঞ্জ স্থানীয় স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করে। পরে ২০১৭ সালে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা খুলে নিজেই তার প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হয়। কথিত মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান থাকাকালীন বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয়। মূলত সেখান থেকেই তার প্রতারণা কার্যক্রম শুরু। সে বিভিন্ন ক্ষমতাবান ব্যক্তির পরিচয় দিয়ে, তাদের নাম ব্যবহার করে চাকরি দেওয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধার এসব কাজের কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে আসছে। নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের ব্যবহার করে জোরপূর্বক জমি ও টাকা আত্মসাৎ করতো সে। চলাফেরা করতো আলিশান গাড়িতে।

আতিক বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সেগুলোর ভিডিও ধারণ করে তাদের ফাঁদে ফেলতো। সেই ভিডিও দেখিয়ে নারীদের বিভিন্ন অপকর্ম করতে বাধ্য করতো। এছাড়া সে বিভিন্ন এলাকার অনেক নারীকে বিভিন্ন পরিচয়ে বিয়েও করেছে। সে বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া পরিচয় দিয়ে  ৮ জনকে বিয়ে করেছে। কিছু দিন সম্পর্ক রাখার পর টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যেত। পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় তার নামে একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ