শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কয়রার দারোগা মিন্টু ও সাইফুলের মত অভদ্র আচরণ রাজনীতির ৪২ বছরে দেখিনি

খুলনা অফিস : খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, কয়রা থানার দারোগা মিন্টু ও সাইফুল যে ধরনের অশালীন অভদ্র ও বেয়াদবি আচরণ করেছে তা তার রাজনীতির ৪২ বছরে ইতোপূর্বে দেখেননি। যার ইশারা ইঙ্গিতে এধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা পুলিশ ঘটিয়েছে তাকে প্রকাশ্যে আসার আহ্বান জানিয়ে পুলিশের এই আচরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। রোববার (১৩ জুন) দুপুর ১২ টায় বিএনপি কাযালয়ে কয়রা উপজেলায় বিএনপির ত্রাণ বহরে হামলা, মারপিট, হুমকি গালিগালাজ, নামাজ ও আহারে বাধা ও পাইকগাছায় ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ তুলে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির প্রেসব্রিফিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
লিখিত বক্তব্যে মঞ্জু আরো উল্লেখ করেন, শনিবার (১২ জুন) খুলনা জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় গিয়ে বেলা ১১টায় কয়রা উপজেলার কালনা আমিনিয়া মাদরাসায় ৫৫০ মানুষের মাঝে ত্রাণ হস্তান্তর করা হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বাঁধ পরিদর্শন করে ফিরে আসার পর কয়রা থানার পুলিশ বিএনপির নেতাকমীদের ওপর চড়াও হয়, লাঠি নিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর দিকে তেড়ে আসে। এসময় পরিচয় দেওয়ার পরও তারা ত্রাণ বিতরণের লিখিত অনুমতি চায়; এসময় ডিসি সাহেবের অনুমতির কথা বললে পুলিশ কটুক্তি করে। দারোগা মিন্টু ও সাইফুল গালিগালাজ ও লাঠি নিয়ে মারতে উদ্যত হওয়া ও আমাদের তিন গাড়ীর ড্রাইভারদের গ্রেফতারের হুমকি ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে গাড়ী তাড়িয়ে দেয়ার প্রতিবাদ করলে তারা আরও মারমুখি হয় এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ না করলে গ্রেফতারের ভয় দেখায়। জোহরের নামাজ পড়তে চাইলে তারা বাঁধা দেয়। আমরা ভ্যানে করে তিন কিলোমিটার পথ এসে গাড়ীতে উঠে রওনা হয়ে দশ কিলোমিটারের মাথায় চাদআলী ব্রীজ পার হয়ে কমরউদ্দিন কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে পাশের মসজিদে জোহরের নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি কালে পুলিশ সেখানে এসে হামলা চালায় এতে ত্রাণকর্মী শামিম আশরাফ ও মেহেদী হাসান মিলন আহত হয়। তখন পুলিশ সদস্য মিন্টু বলে নামায এখানে পড়া যাবে না, কথা না শুনলে থানায় যেয়ে নামাজ পড়তে হবে। বিকালে পাইকগাছায় ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচী থাকলেও পাইকগাছার পুলিশও ঢুকতে দেয়নি।
তিনি পুলিশের এমন অশালীন অভদ্র ও বেয়াদবি আচরণে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতে বিএনপির ত্রাণ কার্যক্রম বিনা বাঁধায় পরিচালনা করার দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, শেখ মুশাররফ হোসেন, জাফরুল্লাহ খান সাচ্চু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ