কবিতা
বর্ষাকাল
হুমায়ুন আবিদ
বর্ষাকালে খালে বিলে
উপচে পড়ে জল
ছেলে মেয়ে সাঁতার কাটে
করে কোলাহল।
মেঘের ফাঁকে সূর্য হাসে
বাউল ধরে গান
বৃষ্টি জলে ফসল ভাসে
দেশে আসে বান
কৃষাণেরা মাঠে ভিজে
করে তাদের কাজ
আকাশ ঢাকে গুড়ুম ঘুড়ুম
দূরে পড়ে বাজ।
সবুজ ঘাসে ব্যঙের ছাতা
ব্যঙের মাথায় তাজ
বৃষ্টির মাঝে রোদের হাসি
ব্যঙের বিয়ে আজ।
কদম গাছে ফুলের শোভা
নৌকায় উড়ে পাল
কাদা মাখা রাস্তায় চলে
পথিক হারায় তাল।
চারিদিকে সবুজ শ্যামল
দেখতে লাগে বেশ
বর্ষা এলেই রূপে হাসে
সোনার বাংলাদেশ।
ঘিলু
সিদ্দিক আবু বকর
টুকটাক ঠুকঠাক
কাজ করে মিলু
যদি বলি বানা বল
বানাবে সে পিলু
প্যান্ট চাই টাইট-ফিট
সেটা হবে ঢিলু!
টুকটাক ঠুকঠাক
দিন-রাত মিলু
করে কাজ এলোমেলো
কমজোর ঘিলু।
মেঘের সারি
নাহিদ নজরুল
মেঘের সারি আড়াআড়ি
যাচ্ছে খুবই খেটে
জোর কদমে হেঁটে।
রোদের হাসি বাসি করে
দেয় ছায়ার জাল ঢেলে
দিনমণি যায় হেলে।
খানিক পরেই উপচে পড়ে
ছিঁচকাদুনে ফোঁটা
প্রাণ ফিরে পায় ‘লোটা'।
বিড়াল ছানা
শাহ্ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
বিড়াল ছানা বিড়াল ছানা
দুধ খেতে চাও বুঝি,
তোমার জন্য রাঁধছে খুকি
মিষ্টি স্বাদের সুজি।
মাছের কাঁটাও রাখছে সাথে
বলো কোনটা খাবে ,
নতুন কিছু খেতে চাইলে
সেটাও তুমি পাবে।
বৃষ্টি নামে
এম এস ফরিদ
আকাশ পানে মেঘের ভেলা
গুড়ুম গুড়ুম ডাকে
মেঘের রানির বিজলি মেয়ে
রঙধনুটা আঁকে।
বৃষ্টি নামে রিমঝিমিয়ে
গাছগাছালির পানে
মাঠে ঘাটে খালে বিলে
সবুজ ভূমির টানে।
বৃষ্টি এলে প্রাণ ফিরে পায়
শুষ্ক থাকা মাটি
বৃষ্টি এলে পরিবেশটা
হয় যে পরিপাটি।
ঘরবন্দি
জাহিদুল ইসলাম
স্কুলে তো যাই না আমি
যাই না খেলার মাঠে
ঘরের ভেতর খাটের ওপর
সারাটা দিন কাটে।
কবে কি বার কতো তারিখ
রাখি না তার খোঁজ
বন্দি ঘরে একই রকম
থাকি আমি রোজ।
কোথাও যেতে ইচ্ছে হলে
ঘর হতে বেলকুনি
অন্য কোথাও যাওয়া মানা
অফুরান দিন গুনি।
কবে যাবে করোনাটা
ফিরে পাবো সব
ফুলের মতো পাখির মতো
করবো কলরব।
ন্যায়ের পথে রবো
শহীদুল ইসলাম ফকির
অ,আ পড়ছি আমি
পড়াই আমার কাম
বাবা মায়ের চোখের মণি
ফারহান আমার নাম।
মা বলেছে জ্ঞাণী হতে
পড়তে হবে বই,
তোমরা সবাই জেনে রেখো
বইযে জ্ঞানের মই।
বাবার কাছে আদব শিখি
শিখি লেখাপড়া,
মায়ের কাছে রাতে শুনি
ঘুমপাড়ানির ছড়া।
সব মিলিয়ে স্বপ্ন আমার
অনেক বড় হবো,
দেশ মানুষের করবো সেবা
ন্যায়ের পথে রবো।
মেঘমেয়েটা
তৈয়বুর রহমান ভূঁইয়া
মেঘমেয়েটা মেঘমেয়েটা
কোথায় তোমার বাড়ি?
কোথায় পেলে বলো অমন
মস্ত হাওয়া গাড়ি?
আকাশ মাঝে উড়ে উড়ে
গুড়ুম গুড়ুম ডাকো,
বলো আমায় তুমি কি গো
সুখের ছবি আঁকো।
তোমার মতো থাকলে গাড়ি
থাকলে অমন পাখা,
আর হতো না আমায় ওগো
বন্দি করে রাখা।