শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

টিকার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাচ্ছি না -জিএম কাদের

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহে কেবল আশার বাণী শোনা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেন, টিকা কোথায় থেকে কীভাবে আসবে তার কেবল আশার বাণী শুনতে পাচ্ছি। নিশ্চিতভাবে কবে কোথা থেকে আসবে সেই তথ্য পাচ্ছি না। সরকারের এই বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থ বছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, করোনার মধ্যে সবাই বিভীষিকাময় জীবন যাপন করছে। উন্নত বিশ্ব সবাইকে টিকার আওতায় এনে সবকিছু আস্তে আস্তে খুলে দিচ্ছে। এতে অনেক উন্নত দেশ এগিয়ে গেছে। অনেক অনুন্নত দেশও তা করার চেষ্টা করছেন। আমাদের দেশে সরকার টিকা প্রদানে যে পরিকল্পনার কথা বলেছে তাদে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে এক ডোজ টিকা দিতে ৫ বছর লাগবে। দুই ডোজ দিতে ১০ বছর লাগবে। এই পরিকল্পনায় এগুলে ১০ বছরে দেশের অর্থনীতি কী হবে তা বুঝতে পারছি না।
স্বাস্থ্যখাতে অপ্রতুল বরাদ্দ উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব দেশে স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকে। করোনায় সবাই উদ্বিগ্ন ও বিপর্যস্ত। এই সময় স্বাস্থ্যখাতে বেশি বরাদ্দ দরকার। কিন্তু আমাদের এখানে বরাদ্দ খুবই কম। আমি মনে করি স্বাস্থ্যখাতে কমপক্ষে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দরকার। স্বাস্থ্যখাত শক্তিশালী হলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। করোনা নিয়ন্ত্রণ হলে আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
বাধা ছাড়াই হয়তো সম্পূরক বাজেট অনুমোদিত হবে উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, বাজেটে কম বা বেশি খরচ দুটোকেই আমরা অস্বাভাবিক বলতে হবে। বৃদ্ধির প্রস্তাব হলে সেখানে দুর্নীতি রয়েছে কী না বা বাজেট যারা প্রণয়ন করেছে তাদের ত্রুটি ছিলো কী না সেটা দেখা দরকার। আর এজন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতার মধ্যে আনা উচিত। অপরদিকে পরিকল্পিতভাবে খরচ কমানোকে মিতব্যয়ী বলতে পারি। কিন্তু খরচ করতে না পারাকে আমাদের অদক্ষতা বলতে হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ