শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম ভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল মহানগর নিউজ কর্তৃক গত ৩ জুন “আইআইইউসিতে হরিলুট ফাঁসছেন আরও দুই জামায়াত নেতা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাষ্টিজ এর চেয়ারম্যান আ.ন.ম শামসুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার দেয়া প্রতিবাদলিপিতে তিনি বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আইআইইউসি’র স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহ এবং আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সভাপতির একান্ত সচিব শফিউল আলম কর্তৃক অফিস না করেই বেতন ভাতা উত্তোলনের” যে অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও দূরভিসন্ধিমূলক তথ্য প্রচারিত হয়েছে, আমরা আইআইইউসি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্যাগণ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনাব আ জ ম ওবায়দুল্লাহ আইআইইউসি’র প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে দীর্ঘদিন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে ছিলেন এবং পরবর্তীতে স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের পরিচালক মনোনীত হয়ে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। আইআইইউসি’র স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের গঠন ও এর এগিয়ে যাওয়া আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহর দক্ষতা ও পরিশ্রমের ফসল। শফিউল আলম ২০০৬ সাল থেকে ট্রাস্টি বোর্ডের দপ্তরের একমাত্র কর্মকর্তা অত্যন্ত সততা ও যোগ্যতার সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
উল্লেখ্য, সরকারের সিদ্ধান্তের কারণে চট্টগ্রাম শহরস্থ আইআইইউসি’র সকল ক্যাম্পাস বন্ধ করে ২০১৭ সালে কুমিরায় স্থানান্তর করা হলেও, আইআইইউসি ট্রাস্টি বোর্ডের অফিসটি চকবাজারস্থ  কলেজ রোড়ে বর্তমান ছিল, যেখানে ট্রাস্টের সভাপতিসহ ট্রাস্টের অন্যান্য সদস্যগণ নিয়মিত অফিস করতেন। প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি নেতৃত্বাধীন কথিত অবৈধ বোর্ড অব ট্রাস্টি ০১.০৪.২০২১ তারিখ হতে আইআইইউসি ট্রাস্টের উক্ত অফিসটি বন্ধ করে দেয়।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, শফিউল আলম ট্রাস্টি বোর্ডের দপ্তরের একমাত্র কর্মকর্তা ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতির একান্ত সচিব হিসেবে ট্রাস্টের চকবাজারস্থ অফিসেই নিয়মিত অফিস করেছেন এবং দাপ্তরিক প্রয়োজনানুসারে সময়ে সময়ে কুমিরাঞ্জ অফিসে দায়িত্ব পালন করতেন। একজন কর্মকতা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত কর্মস্থলে কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক এবং একান্ত সচিবের পদে কর্মরত একজন কর্মকর্তা তার বস যখন যেখানে অফিস করেন, সেখানেই তিনি দায়িত্ব পালনে বাধ্য। জনাব শফিউল আলমের চট্টগ্রাম শহরস্থ ট্রাস্ট অফিস হবার কারনে কুমিরা ক্যাম্পাসে স্থাপিত ডিজিটাল হাজিরায় তাঁর নামের অধীনে কোন প্রভিশনই রাখা হয়নি। অনিবার্য কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারী হতে আ.জ. ম. ওবায়দুল্লাহকে চট্টগ্রাম শহরস্থ ট্রাস্ট কার্যালয়ে স্টুডেন্ট ফোর্স ডিভিশনে তার নির্ধারিত দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে অফিস করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলে, ঐ তারিখ হতে সেখানে অফিস করেন এবং কুমিরা ক্যাম্পাসে অফিসের দৈনন্দিন কার্য পরিচালনার জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের অতিরিক্ত পরিচালক মামুনুর রশিদকে ডিভিশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক করা হয়। তিনি দাপ্তরিক প্রয়োজনে যে সমস্ত দিনে কুমিরাস্থ ক্যাম্পাসে এসেছেন শুধুমাত্র সেসব দিনেই ডিজিটাল হাজিরায় উপস্থিত ছিলেন। শহরস্থ অফিসে ডিজিটাল হাজিরার ব্যবস্থা ছিল না। অতএব উক্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস না করেই বেতন ভাতা উত্তোলনের” যে উদ্ভট অভিযোগ আনা হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা ও বানোয়াট এবং হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এতে আরো বলা হয়, নিউজটিতে প্রতিফলিত তথ্যগত ঘটনাগত ও আইনগত মারাত্মক ভুলের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মানসম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে এবং একইসাথে আন্তর্জাতিক সুনামের অধিকারী এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষতির শিকার হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি দণ্ডবিধি, তথ্য প্রযুক্তি আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আভায় মারাত্মক একটি অপরাধ সংবাদে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের অফিস না করেই বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি যেহেতু সত্য নয়, তাই এ সংক্রান্ত কোন মামলায় ফেঁসে যাবার প্রশ্নই অবান্তর। মূলত একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে “রাজনৈতিক বিষয়” এর সাথে যেনতেন প্রকারে সম্পৃক্ত করে এর ভাব মর্যাদা ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি এমন অসত্য সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ জানাচ্ছি এবং প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আইআইইউসির শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ