বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশে ফাইজারের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন

 

স্টাফ রিপোর্টার : ফাইজার-বায়োএনটেক উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুমোদনের বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য চতুর্থ টিকা হিসেবে ফাইজারের এ টিকার অনুমোদন দেওয়া হলো। আগামী ২ জুন ১ লাখ ৬ হাজার ডোজ ফাইজার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে।

এর আগে, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড, রাশিয়া উৎপাদিত স্পুতনিক ও চীনের সিনোফার্মের টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুমোদনের আবেদনের পর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নথিপত্র মূল্যায়ণ করে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অন্যান্য বিষয় মূল্যায়ণের জন্য গঠিত কমিটির কাছে পাঠায়। ওই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এর অনুমোদন দেওয়া হয়ছে।

যুক্তরাজ্যে গত বছরের ২ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রে ১১ ডিসেম্বর ও ২১ ডিসেম্বর ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফাইজারের করোনা টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। দুই ডোজ ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। এটিকে -৯০ ডিগ্রি থেকে -৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি পাঁচ দিন ও ৩০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভ্যাকসিনটি দুই ঘণ্টা ভালো থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স গ্যাভি-এর নেতৃত্বে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক ফাইজার এবং জার্মানিয়ের বায়োএনটেকের তৈরি প্রায় চার লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।কোভ্যাক্স এ বছরের মধ্যে অন্তত ১৭২টি দেশে মোট ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ওষুধ শিল্পের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠানের কাছে এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণের সরঞ্জাম রয়েছে। তবে এই সরঞ্জামের সবগুলো এই ভ্যাকসিনের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। অনেকে জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শূন্য দশমিক তিন (০.৩) মিলি সিরিঞ্জ দেশে পাওয়া যায় না।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ