বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতই তার পেশা!

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে পাঁচজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মো. ইয়াসিন বাপ্পী নামে ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক জিসান।
জিসান জানান, গ্রেপ্তার ইয়াসিন বাপ্পী একটি প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এই চক্রের সদস্য হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তার পেশা। প্রতারণার শিকার মামলার বাদী পাবেল দাস তার পূর্ব পরিচিত মানিক লাল নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে বাপ্পীর সঙ্গে পরিচিত হন। পরিচয়ের একপর্যায়ে বাপ্পি পাবেলকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে চাকরি দিতে পারবে বলে জানায়।
ইয়াসিন বাপ্পী প্রলোভন দেখিয়ে জানায়, তার সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব কর্মকর্তার সুসম্পর্ক। চাকরি পেতে হলে তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। চাকরির আশায় বাপ্পীর কথা বিশ্বাস করে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন পাবেল। এরপর পাবেল দাসসহ আরও চার ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে মোট ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন বাপ্পী।
ভুক্তভোগী পাবেল দাস মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর চাকরির জন্য ইয়াসিন বাপ্পীর বাসায় গিয়ে তিনি ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন। পরে ইয়াসিন বাপ্পী তাকে একটি নিয়োগপত্র দেন, যেটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিবের সিলসহ স্বাক্ষরিত। নিয়োগপত্র অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৬ জুন তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অফিসে সুইপার পদে কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন ইয়াসিন বাপ্পী আসেননি। তার মতো আরও চার ভুক্তভোগী ইয়াসিন বাপ্পীর অপেক্ষায় বসে রয়েছেন।
পাবেল দাস এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, বাপ্পী না আসায় পাবেল দাসসহ বাকি চার ভুক্তভোগী সিটি করপোরেশনের অফিসে গিয়ে নিয়োগপত্র দেখালে তারা বুঝতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়া। জাল সিল ও জাল স্বাক্ষর দিয়ে ইয়াসিন বাপ্পী তাদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়েছেন। পরে পাবেল দাস ইয়াসিন বাপ্পীর কাছে টাকা ফেরত চাইলে বাপ্পী তাকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের একটি চেক দেন। সেই চেক নিয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বংশাল শাখায় যোগাযোগ করেন ভুক্তভোগী। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে জানায়। পরে আবারও ইয়াসিন বাপ্পীর কাছে ভুক্তভোগী টাকা দাবি করেন। তখন টাকা না দিয়ে পাবেল দাসকে মেরে ফেলার হুমকি দেন আসামি। এরপর গত মঙ্গলবার ডিএমপির বংশাল থানায় একটি মামলা করেন পাবেল দাস। মামলার পর বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ