শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন

স্টাফ রিপোর্টার: ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মারা গেছেন। বাকিংহাম প্যালেস থেকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিবিসি জানায়, ডিউক অব এডিনবার্গ খেতাবধারী এই যুবরাজের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। বাকিংহাম প্যালেস সূত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টও এ তথ্য জানিয়েছে। এদিকে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রপতি এক বার্তায় ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বলে বঙ্গভবন থেকে জানানো হয়েছে। পৃথক বার্তায় প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকার্ত রাজপরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রিন্স ফিলিপ ১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিক আইল্যান্ডের কর্ফুতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা প্রিন্স অ্যান্ড্রু ছিলেন গ্রিস ও ডেনমার্কের যুবরাজ, হেলেনের রাজা প্রথম জর্জের ছোট ছেলে। তার মা প্রিন্সেস অ্যালিস ছিলেন লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেনের মেয়ে, কুইন ভিক্টোরিয়ার নাতনি। এলিজাবেথ রাণী হওয়ার পাঁচ বছর আগে ১৯৪৭ সালে তাকে বিয়ে করেন প্রিন্স ফিলিপ। পরিবারে চার সন্তান ও ১০ জন নাতি-নাতনিকে রেখে গেলেন তিনি।
বাকিংহাম প্যালেস এক বিবৃতিতে জানায়, গভীর দুঃখের সঙ্গে রানি তার প্রিয় স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর ঘোষণা দিয়েছেন। উইন্ডসর ক্যাসেলে সকালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। ৫ বছর পর ১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন। তখন থেকে এ পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন। ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেন তিনি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে তিনি কোনো রাজা বা রানির সবচেয়ে দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ছিলেন।
ডাউনিং স্ট্রিট থেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, তিনি (প্রিন্স ফিলিপ) অসংখ্য তরুণকে অনুপ্রাণিত করেছেন। অসুস্থ বোধ করায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৯৯ বছরের প্রিন্স ফিলিপকে কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল, তিনি কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত নন।
হৃদযন্ত্র পরীক্ষার জন্য পরে তাকে আরেকটি হাসপাতালে সাত দিন রাখা হয়। সেখানে সফলভাবে তার হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা ও চিকিৎসা হয় বলে জানিয়েছিল বিবিসি। দীর্ঘ প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর গত মাসের মাঝামাঝিতে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ