রোববার থেকে হোম অফিসের সুযোগ পাবেন ব্যাংক কর্মকর্তারা
স্টাফ রিপোর্টার: ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে অফিস বা প্রতিষ্ঠান চালাতে সরকারের নির্দেশনা থাকলেও ব্যাংকগুলো এখনও চলছে আগের নিয়মেই। ব্যাংক কর্মকর্তারা আগামীকাল রোববার (৪ এপ্রিল) থেকে, অর্থাৎ তিন দিন পর থেকে হোম অফিসের সুযোগ পাবেন। বিভিন্ন ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা নির্দেশনা আমলে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলো তাদের সব শাখায় পরিপালনের জন্য পাঠাবে। এই নির্দেশনা আগামী ৪ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। জানা গেছে, রোস্টার করে ব্যাংকের অর্ধেক কর্মকর্তা বাসায় থেকে এবং অর্ধেক কর্মকর্তা অফিসে এসে কাজ করবেন।
অবশ্য ব্যাংকের সব শাখায় স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে সব ব্যাংক। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের এমডিদের সংগঠন এবিবি'র সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করেছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলো স্ব স্ব শাখায় নির্দেশনা দেবে। আজকেই কিছু ব্যাংক রোস্টার করে ডিউটি করছে। তবে আগামী রোববার থেকে সব ব্যাংকের অর্ধেক কর্মকর্তা হোম অফিসের সুযোগ পাবেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রয়োজনে ৫০ শতাংশ কর্মী বা ব্যাংকগুলোর জনবলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আগামী দুই সপ্তাহ এ নির্দেশনা পরিপালন করতে বলা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে ব্যাংকের করণীয় বিষয়ে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার নতুন করে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়। এর মধ্যে ছয়টি নির্দেশনা পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে বিদ্যমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে জনবলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।