শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

করোনায় বিশ্বে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ১১ কোটি

স্টাফ রিপোর্টার: গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫১৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬ জন হয়েছে। এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনো স্বস্তিতে নেই বিশ্ববাসী। বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৩ জনের।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৭ হাজার ৯৫৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৩ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯ কোটি ৬ লাখ ৯৬ হাজার ৫৯৬ জন। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ৯৩ লাখ ১৪ হাজার ২৫৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৭ হাজার ২২৬ জনের। আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ১১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৯ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ২৭৫ জন। আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ কোটি ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৬০৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩৬ জনের। আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫০ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছে ৮৬ হাজার ৪৫৫ জন। আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাবে যুক্তরাজ্য রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪১ লাখ ৮২ হাজার ৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১ লাখ ২২ হাজার ৯৫৩ জন। এদিকে আক্রান্তের তালিকায় ফ্রান্স ষষ্ঠ, স্পেন সপ্তম, ইতালি অষ্টম, তুরস্ক নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ এর ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত এক দিনে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৫১৫ জন। গত এক দিনে মারা যাওয়া ৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট ৮ হাজার ৪২৩ জনের মৃত্যু হল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৮৯৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬৯১ জন হয়েছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গত বছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৩ জানুয়ারি তা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৮টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৯টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ২১৬টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৩২৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৯২২টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৫টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের ৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং ১ জন করে মোট ২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা বিভাগের ও ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।  দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ৪২৩ জনের মধ্যে ৬ হাজার ৩৬৮ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৫৫ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৮৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৮৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৫৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪২২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৭২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬৪ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৭ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৭১৫ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৫৪৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৭৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৬০ জন খুলনা বিভাগের, ২৫৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৩১০ জন সিলেট বিভাগের, ৩৬৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯৬ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ