শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আর অংশ নেবে না বিএনপি

গতকাল রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলগতভাবে বিএনপি অংশ নেবে না। গতকাল রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা কাউকে মনোনয়ন দেব না। তিনি বলেন, সাম্প্রতিককালে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উপজেলা পরিষদে উপনির্বাচনে ও সব পৌরসভা নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে চরম ব্যর্থতা নিয়ে গত শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিন্দা ও ধিক্কার জানানো হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা মনে করেছিলাম যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এখানে অন্তত সরকার একটা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন পরিচালনার গ্রহন করবেন। বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে বলেই চরম প্রতিকূল অবস্থায় স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নয়- এটা প্রমাণিত। অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নই তাদের (ইসি) প্রধান কাজ। তাই আগামীতে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদ ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ডাকে বিএনপি। কর্মসূচি ঘিরে গতকাল সকাল ১০টা থেকে ছাত্রদল ও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রেস ক্লাব এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা রাস্তায় নামেন। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের লাঠিপেটায় একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। তারপর নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। তখন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
এ প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজকে (গতকাল) ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে। ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে সরকার মত-প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করেছে। অবিলম্বে এ আইন বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। একইসঙ্গে কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।
আগামীতে সব নির্বাচনেই অংশগ্রহন থেকে বিরত থাকবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আমাদের স্ট্যাডিং কমিটির সিদ্ধান্ত হলে আপনাদেরকে জানাব। এখন পর্যন্ত আমাদের পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমরা আর দলগতভাবে যাচ্ছি না। ইন রেসপেক্ট প্রিভিয়াস অব দ্যা ইলেকশন লোক্যাল গর্ভামেনট ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের দলের কাউকে মনোনয়ন আর দিচ্ছি না।
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরি উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ