শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

এলসি না খোলা প্রতিষ্ঠানের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার : সরকার নির্ধারিত সময় ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র বা লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) না খোলা প্রতিষ্ঠানের চাল আমদানির বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে যে পরিমাণ বরাদ্দ বাতিল হয়েছে তাতে আমদানি বাধাগ্রস্ত হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, গত বুধবার বরাদ্দপত্র বাতিল করে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যারা ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র খুলতে পারেননি তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়।
তবে যেসব বেসরকারি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে ঋণপত্র খুলেছেন এবং বরাদ্দ পাওয়া চাল আমদানি করে বাজারজাত করেছেন, তারা চাইলে আবারও সরকারের এই কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারবেন। চাল আমদানির জন্য তাদেরকে প্রমাণপত্রসহ এলসি কপিসহ আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করার কথা বলা হয়েছে। তবে কতগুলো প্রতিষ্ঠান চাল আমদানির অনুমতি পেয়েও এলসি ওপেন করতে পারেনি তা জানা যায়নি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম বলেছেন, এলসি না খোলা প্রতিষ্ঠানের চাল আমদানির অনুমতি বাতিল করার কারণে আমদানি বাধাগ্রস্ত হবে না। যে পরিমাণ বরাদ্দ বাতিল হয়েছে তা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আমদানি করা সম্ভব।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ধান-চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না করা, বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে গুদামে মজুত ফুরিয়ে আসার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চাল আমদানি শুরু করে। বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।
সরকারের শর্ত মেনে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৩২০টি অনুমতি দেওয়া হয়। মোট ১০ লাখ সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। চাল আমদানির বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রথমে সময় বেধে দেয় সরকার। পরে সময় বাড়িয়ে তা ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে যারা এলসি ওপেন করেনি সেসব প্রতিষ্ঠানের বরাদ্দ বাতিল করা হয়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ