চট্টগ্রামের দুই মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা
সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী ও বিএনপি মনোনীত ডা. শাহাদাত হোসেন তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। সামান্য কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া দুই প্রার্থী প্রায় একই বিষয়গুলো তাদের ইশতেহারে ঠাঁই দিয়ে তা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী তার ঘোষিত ৩৭ দফার ইশতেহারে চট্টগ্রামের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতাকে তার প্রথম ১০০ দিনের কার্যতালিকায় ঠাঁই দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তিনি জলাবদ্ধতা নির্মূল মহাপরিকল্পনা ও নগর উন্নয়নে ডেল্টা প্ল্যান সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সঙ্গে বসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
অপরদিকে, বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জলাবদ্ধতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করলেও তিনি তার ঘোষিত নয় দফার ইশতেহারে নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতারা বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিকদের সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তিকে ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ইশতেহার ঘোষণা করেন ময়ের প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। ঠিক এক ঘণ্টার পর প্রেসক্লাবের পাশের একটি রেস্টুরেন্টে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
ইশতেহার ঘোষণা করছেন মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী
এক নজরে দেখে নেয়া যাক প্রধান দুই প্রার্থীর ঘোষিত ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য দফাগুলো।
আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জলাবদ্ধতাকে নগরের সবচেয়ে প্রাচীন ও বড় সঙ্কট বলে উল্লেখ করে তা নিরসনে জলাবদ্ধতা নির্মূল মহাপরিকল্পনা ও নগর উন্নয়নে ডেল্টা প্ল্যান সঠিকভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থা ও সেনাবাহীনির ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সঙ্গে বসার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়া নগরীর দখলকৃত খাল, নালা ও নদী পুনরুদ্ধারে নির্বাচিত হওয়ার প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে সব ক্রুটি ও প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তা নির্মূলে আইনের কঠোর প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন।
অপরদিকে, বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের সময় ইউএনডিপি’র সহায়তায় নালা-নর্দমা সংস্কারে প্রণীত মাস্টারপ্ল্যান ও ১৯৯৫ সালে প্রণীত মাস্টার ড্রেনেজ প্ল্যান পুনর্বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম নগরের অবহেলিত বিভাগগুলোর অন্যতম হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগকে চিহ্নিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরের জনসংখ্যা গত ৫০ বছরে প্রায় ২০ গুণ বৃদ্ধি পেলেও নতুন কোনো হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ঢাকায় ১০টি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত নেই।
এ সমস্যা সমাধানে তিনি সিটি করপোরেশনভুক্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ ও মেনন মাতুসদন এবং চসিক জেনারেল হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও চট্টগ্রামের একমাত্র বিশেষায়িত হাসপাতাল বিআইটিআইডিকে পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে মোবাইল মেডিকেল ইউনিট গঠন, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য ‘ওল্ড এইজ হোম কেয়ার’ প্রতিষ্ঠা, শিশুদের জন্য ‘রিমোর্ট ও ভার্চুয়াল’ সেবা নিশ্চিত এবং করোনাভাইরাস শনাক্তে পর্যাপ্ত পরীক্ষাগার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
অপরদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী স্বাস্থ্য সেবায় সিটি করপোরেশনের মান আরও বাড়াতে নগরের মানবতাবাদী ধনাঢ্য ব্যক্তি ও করপোরেট গ্রুপকে যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী টানা ১৭ বছর মেয়াদে নগরীতে প্রসূতি সেবা ও সাধারণ সেবা দিতে অনেক হাসপাতাল তৈরি করেছেন। যা এখনো চালু আছে। আওতার বাইরে করপোরেশনের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। এতে মাঝে মাঝে সেবার মান ঝুলে যায়।
এ সমস্যা দূর করতে তিনি সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ৫০০ ব্যাডের সম্পূর্ণ নতুন হাসপাতাল, প্রতিটি ওয়ার্ডে সেবা কেন্দ্র চালু, স্কুল ফিডিং, স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে বহির্বিভাগ চালু ও বন্ধ হাসপাতালগুলো আবার চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, নগরীর অন্যতম সমস্যা হলো ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা। এতে কেটি কোটি কর্মঘণ্টা ও বিপুল অর্থ নষ্ট হয়। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে এই জটিল সমস্যা দূর করতে কথা বলব।
তিনি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আধুনিক ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম ও মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি পথচারী পারাপারে আন্ডারপাস চালুর উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
ইশতেহার ঘোষণা করছেন মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন
অপরদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থীও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি ইশতেহারে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সামনে এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ তৈরে, সড়কে সাইকেলের জন্য আলাদা লেন চালু, বাস-ট্রাক টার্মিনাল চালু ও বহুতল পার্কিং তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন।
নগরের হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে বিতর্ক নিরসনে ডিজিটাল গৃহশুমারির ঘোষণা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া কর বিভাগে সর্বোচ্চ নজরদারি ও স্বচ্ছতা-দক্ষতা ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচিত হলে জনগণের উন্নত সেবা নিশ্চিতে হোল্ডিং ট্যাক্সের প্রয়োজনীয় বিন্যাস ও সরলীকরণের ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের আবাসন হোল্ডিং ট্যাক্সমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া নগরের বিভিন্ন স্থানে হকারদের সুবিধামতো পুনর্বাসন ও শ্রমজীবীদের দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতে আবাসন সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শাহাদাত।
৭০ লাখ নগরবাসীর জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য অপচনশীল পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যের আলাদা ডাম্পিং ইয়ার্ড করে রিসাইক্লিং প্ল্যান্টে রফতানি উপযোগী গৃহস্থালি সামগ্রী তৈরির কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এছাড়া দখল হয়ে যাওয়া খাল, নালা, নর্দমা ও নদী পুনরুদ্ধারে অভিযান চালানোরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে, নির্বাচিত হলে পরিচ্ছন্নতা বিভাগকে ঢেলে সাজিয়ে বিভাগে লোকবল বৃদ্ধি, উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি সংযোজন, আধুনিক ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
এছাড়া তিনি উন্নত বিশ্বের আদলে সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রকল্প গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম নগরীকে অল্প সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন।
এ লক্ষ্যে তিনি দেশি-বিদেশি সহায়তায় প্রকল্প গ্রহণ, বায়ু দূষণ রোধে ইলেকট্রিক বাস সার্ভিস চালু, সড়কে সাইকেলের জন্য আলাদা লেন চালু, স্মার্ট বাস স্টপ চালু, নগরের দিঘী ও পুকুরগুলোকে পর্যটন স্পটে পরিণত করার কথা বলছেন।
অপরদিকে, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যটন খাত ও সৈকত পর্যটনে আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রণয়নের দিকে জোর দিয়েছেন।
এই বিষয়টিতে বেশি জোর দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি সিটি করপোরেশনের অধীনে আইটি পার্ক স্থাপন, স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি ওয়াইফাই চালু, অনলাইন পদ্ধতিতে হোল্ডিং ট্যাক্স, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, ট্রেড লাইসেন্স ফি ও সাইন বোর্ড ট্যাক্স সরলীকরণের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকদের অভিযোগ গ্রহণ ও সার্বক্ষণিক তদারকিসহ সব নাগরিক সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একটি আইটি কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিচালনার কথা বলছেন ডা. শাহাদাত।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী নাগরিক তথ্য সেবাসহ সব সেবা কেন্দ্রীয় সার্ভার নির্ভর ওয়ান স্টপ ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশ একই ধরনের হলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের চিন্তা আলাদা। সেগুলো হলো-
আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হবো। সুনীল অর্থনীতির সম্পদ আহরণে সরকার যে ২৬টি খাত নির্ধারণ করেছেন তার বেশিরভাগই চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক। চট্টগ্রামের উদ্যোক্তারা যাতে এ খাতে বিনিয়োগ করতে পারে এবং চট্টগ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হয় সেই লক্ষ্যে পরিবেশ সৃষ্টিতে উদ্যোগ নেব।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে নগরে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। অভিভাবকরা যাতে বাসায় বসে মোবাইলে শিক্ষার্থীদের মনিটরিং করতে পারেন তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিটি করপোরেশনের ছেলে মেয়েদের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে ভোকেশনাল শিক্ষা চালু করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানে নগরবাসীর সন্তানদেরও পড়ালেখা করার সুযোগ থাকবে।
এছাড়া নিরাপদ নগর গড়ার লক্ষ্যে একটি সার্বক্ষণিক ‘আইটি কমান্ড সিস্টেম’ তৈরি করা হবে যার মাধ্যমে শহরের নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিচালিত হবে। কমিউনিটি ও ওয়্যার ভিত্তিক পুলিশিং চালুর ঘোষণাও দিয়েছেন ডা. শাহাদাত।
দুটি সংবাদ সম্মেলনেই সাংবাদিকরা সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের কাছে নগরের মশা দূর করতে তারা কী ব্যবস্থা নেবেন জানতে চান। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা না থাকায় কয়েকজন ক্ষোভও প্রকাশ করেন।
জবাবে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জানান, মশামুক্ত নগর গড়তে কার্যকর এবং পরিবেশ উপযোগী কীটনাশক প্রয়োগ, ডোবা ও বদ্ধ জলাশয় পরিষ্কার করা হবে।
অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন জানান, তিনি একজন চিকিৎসক হিসেবে দেশে বিদেশে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মশক নিধনে গতানুগতিক ওষুধ ছিঁটানোর পরিবর্তে মশক নিধনে আধুনিক ‘বায়োলজিক্যাল ম্যাথড’ প্রয়োগ করা হবে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. অনুপম সেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফ, আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান।
অপরদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এমি, নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
ডিএস/এএইচ