বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
Online Edition

খুলনায় ব্যস্ততম জিরোপয়েন্টে নেই গতিনিরোধক ব্যবস্থা

খুলনা অফিস : খুলনায় মহাসড়কে গতি নিধোরক ব্যবস্থা না থাকা, সংযুক্ত চার শতাধিক লিংক রোডে বিপজ্জনক বাঁক ও চালকের অসচেতনতায় দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর মধ্যে খুলনার রূপসা বাইপাসে ব্যস্ততম জিরোপয়েন্ট এলাকায় সংস্কারের অভাবে সড়কের বেহাল দশায় এ স্থানে মৃত্যুঝুকি বাড়ছে। সড়কে পিচ উঠে বড় গর্ত এবড়োথেবড়ো অবস্থা, রোড ডিভাইডার (সড়ক বিভাজন) না থাকা ও সড়ক দ্বীপে বিলবোর্ড-পোষ্টারে ছেয়ে থাকায় চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছে। তবে খুলনা সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর দাবি, এরই মধ্যে খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা ও খুলনা-যশোর মহাসড়কের বিপজ্জনক বাঁক চিহ্নিত করে গতি নিরোধক তৈরি ও সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে। এছাড়া জিরোপয়েন্ট থেকে কুদির বটতলা পর্যন্ত দুর্ঘটনা এড়াতে রোড ডিভাইডার (সড়ক বিভাজন) নির্মাণ করা হচ্ছে।
জানা যায়, শুক্রবার সকালে খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে জিরোপয়েন্ট শিকদার পেট্রোল পাম্পের সামনে ট্রাকের নিচে পিষ্ট হয়ে দুই মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। পুলিশ জানায়, মটরসাইকেলে করে ওই দুইজন খেজুরের রস নিয়ে খুলনার দিকে আসছিলেন। এসময় বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগামি ট্রাকের সাথে মটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে দু’জনে সড়কে সিটকে পড়লে চলন্ত ট্রাকের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বালু বোঝাই একটি ট্রাক (খুলনা মেট্রো ট ১১-০৯৫১) রূপসা থেকে ফুলতলা যাওয়ার পথে জিরোপয়েন্টে সড়কের গর্তে পড়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। মেরামতের পর সেটি সরিয়ে নেওয়া হয়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর খুলনা নগর সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বিপ্লব জানান, খুলনায় মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত চার শতাধিক সাইড রোড বা পকেট রোড রয়েছে। এসব রোড দিয়ে ছোট-বড় যানবাহন যখন মহাসড়কে আসে তখন গতি নিয়ন্ত্রণের অভাবে দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, গত তিন মাসে খুলনায় ছোট বড় ১২৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর অধিকাংশই হয়েছে চালকের বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক স্থানগুলোতে ওভারটেক ও মহাসড়কে কম গতির অটোরিকশা, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন চলার কারণে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ