বেশি কার্যকর টিকা চায় পাকিস্তান
১৬ জানুয়ারি, ডন : পাকিস্তান চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই করোনা ভাইরাসের সবচেয়ে কার্যকর টিকা পেতে চায়। ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪১৭ জন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী চিকিৎসক ফয়সাল সুলতান স্থানীয় সময় গত শুক্রবার জানান, ‘চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেই করোনার টিকা পাব বলে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। তবে ঠিক কবে আমরা টিকা পাব, তা বলা কঠিন।’
ফয়সাল সুলতান বলেন, কোভিড ১৯ রোগের টিকা প্রস্তুতকারী আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরকার যোগাযোগ করছে। যারা আগে তৈরি করেছে তাদের কাছ থেকে টিকা পাওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, সরকার টিকা সরবরাহ করতে চায়। তবে তাড়াহুড়ো করতে চায় না। সরকার চায় কম খরচে ভালো টিকা পেতে।
টিকা আনার ক্ষেত্রে সরকার দেরি করছে এমন সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক সুলতান বলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই টিকা কেনার আদেশ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, চীনের তৈরি ক্যানসিনো টিকার ট্রায়াল শেষ পর্যায়ে। ট্রায়ালের ফল ভালো হলে পাকিস্তানের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন পাবে সরকার। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে ২০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ১০ কোটির বয়স ১৮ বছরের নিচে। এ কারণে তাঁদের টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
পাকিস্তানের অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক জাভেদ উসমান বলেন, কাদের আগে টিকা দেবে, তা পাকিস্তানকে ঠিক করতে হবে।
উগান্ডার ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মুসেভিনি আবার জেতার পথে
১৬ জানুয়ারি, রয়টার্স, বিবিসি : উগান্ডায় ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ইউয়ারি মুসেভিনি (৭৬) আবারও জিততে চলেছেন। ষষ্ঠ মেয়াদে ক্ষমতায় যেতে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, তিনি ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক সংগীত তারকা ববি ওয়াইন।
এদিকে নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন ববি। তাঁর অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, তিন দিন ধরে ইন্টারনেট-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকায় ভোটের ওপর আস্থা নষ্ট হয়েছে।
গতকাল শনিবার ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা। নির্বাচনকে সামনে রেখে চলা সহিংসতায় কয়েক ডজন লোক প্রাণ হারিয়েছেন। বিরোধীদলীয় রাজনীতিকেরা সরকারের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন।
সৌদিতে বিচারকের আসনে বসতে যাচ্ছেন নারীরা
১৬ জানুয়ারি, আল আরাবিয়া : প্রথমবারের মতো বিচারকের আসনে বসতে যাচ্ছেন ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবের নারীরা।
গেল কয়েক বছর ধরে সামাজিকসংস্কারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। তারই অংশ হিসেবে এবার নারীদের বিচারক হিসেবে নিয়োগ হবে।
সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি হিন্দ আল-জাহিদ এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বললেন, এ দেশে শীঘ্রই বিচারকের আসনে বসতে যাচ্ছেন নারীরা। আর তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন পর্যায়ে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আল-আরাবিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। বিশেষ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।
নারীর অধিকার অর্জনে সৌদি অগ্রগতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জানিয়ে তিনি জানান, সৌদি শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। বর্তমানে এই অংশগ্রহণের হার ৩১ শতাংশে পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ ৩৯ থেকে ৪১ শতাংশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।