শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন

# প্রশাসন ও ইসিকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে -ডা: শাহাদাত
# চট্টগ্রামকে একটি স্বচ্ছ ও স্মার্ট সিটিতে পরিণত করব -রেজাউল করিম
চট্টগ্রাম ব্যুরো : করোনার কারণে স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৭ জানুয়ারি। নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া সময় মেনে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হল নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। আওয়ামী লীগ, বিএনপি মেয়র প্রার্থী, কাউন্সিলর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক মেয়র প্রার্থী  ডাঃ শাহাদাত হোসেন--চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চসিক মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা সমুন্নত রাখতেই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিগত নির্বাচনগুলোতে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে মহোৎসব দেখেছে তাতে ভোটাররা আতংকিত। তাই প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় জনগণ ভোট কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সারা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে এই নির্বাচন কমিশন কবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে অবশ্যই ধানের শীষের বিজয় হবে। তিনি প্রশাসন ও ইসিকে চসিক নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভুমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা চসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে হযরত আমানত শাহ (রাঃ) মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণার উদ্বোধনকালে একথা বলেন। জেল রোড মাজার গেট থেকে প্রচারণা শুরু হয়ে বান্ডেল রোড, বংশাল রোড, ফিরিঙ্গিবাজার মোড়, কোতোয়ালী মোড়, লালদিঘিরপাড়, বক্সিরহাট হয়ে আন্দরকিল্লার মোড়ে পথসভায় মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় ধানের শীষের প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে বিশ্বের কাছে অন্যতম পর্যটন নগর হিসেবে গড়ে তুলবো। কর্ণফুলী নদীকে পরিবেশ বান্ধব করে চট্টগ্রামকে হেলদি সিটিতে রূপান্তরিত করবো। জনগণের পাশে থাকবো এবং জনগণের পরামর্শ নিয়ে চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত নগর হিসেবে গড়ে তুলবো।
প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে। ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হলেই আমাদের কাক্সিখত বিজয় আসবে। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনেক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস হয়েছে, কোন ষড়যন্ত্র আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নাই।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ডাঃ শাহাদাত হোসেন একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ। তাই সবাই নিজের আরামকে হারাম করে তাকে জয়ী করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।
 চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রামবাসীর আশা ভরসার প্রতীক। চট্টগ্রামের মাটি বিএনপির ঐক্যবদ্ধ ঘাঁটি। চট্টগ্রামবাসী ভোটের দিনও কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ডা.শাহাদাত হোসেনকে জয়ী করবে ইনশাআল্লাহ।
নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রচারণা বহরদার বাড়ী জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় ও পারিবারিক কবর স্থানে পিতা-মাতা,পূর্বপুরুষদের কবর জেয়ারত ও শাহ আমানত মাজার জেয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এসময় উপস্থিত ছিলেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানিয়ে নৌকায় ভোট চেয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। এ সময় রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সদস্য সামশুল আলম, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদসহ নেতাকর্মীরা।স্বচ্ছ ও স্মার্ট চট্টগ্রাম সিটি গড়ার অংগীকার নিয়ে প্রচারণার শুরুতে মেয়র পদপ্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে চট্টগ্রাম এখন উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অধিকতর মসৃণ ও গতিশীল করতে আমি আমার দলীয় প্রতীক নৌকায় আপনাদের ভোট প্রত্যাশা করছি। পাহাড়, সমতল, সাগর, নদীর অপূর্ব সমাহারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও অর্থনীতির অপার সম্ভাবনাকে জাতির জনক ও তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যথাযথ মূল্যায়ন করেছেন। আর কেউ সেভাবে চট্টগ্রামকে মূল্যায়নে কেবল ব্যর্থ হয়েছে তাই নয়, বরং চট্টগ্রামকে তারা অবহেলাই করেছে। চট্টগ্রামের মানুষের ভালবাসা ও রায় নিয়ে মরহুম জননেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রথমে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের নব দুয়ার খুলে দিয়েছিলেন। তৎকালীন বিএনপি সরকারের চরম অসহযোগিতা সত্বেও তিনি কর্পোরেশনে আয়ের খাত সৃষ্টি করে নিজস্ব বাজেটে চট্টগ্রামের অভাবনীয় উন্নয়ন সূচিত করেছিলেন। আমি বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যার মনোনীত প্রার্থী, সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সম্মূখযোদ্ধা ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ট সহচর হিসেবে কথা দিলাম, মেয়র নির্বাচিত হয়ে আমি জনগণের শক্তি ও মতামতকে পাথেয় করে আধুনিক সুযোগ সুবিধার শতভাগ প্রয়োগের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে একটি স্বচ্ছ ও স্মার্ট সিটিতে পরিনত করব। যেখানে সহজেই নাগরিকরা সকল প্রকার আধুনিক সেবা লাভ করবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ