শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

স্বেচ্ছায় ক্ষমতা জনগণের কাছে দিলে মানইজ্জত বাঁচবে

স্টাফ রিপোর্টার : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জিয়াউর রহমানর নামফলক পরিবর্তনের পরিণতি শুভ হবে না বলে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন গয়েশ্বর চন্দ রায়। গতকাল বুধবার দুপুরে এক মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান একটি ইতিহাস। এদেশ একটি যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, রক্ত বিসর্জন দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এই বাংলা ভাষার জন্য অনেকেই জীবন ও রক্ত দিয়েছে। যাদের রক্তে লেখা এই স্বাধীনতা, এই ভাষা, তাদেরকে রক্তকে অপমান করার দুঃসাহস দেখাবেন না। আমি বলব, এবাউট টার্ন। আবারও বলব, ভ্রাতুষ্পুত্রকে বলেন- তিনি যেন নিজ হাতে মাহুতটুলিতে জিয়াউর রহমানের নামের সাইনবোর্ডটা লাগিয়ে দিয়ে আসেন। তা নাহলে যেদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবে, সেসময় দেশে যে ভাঙ্গাচুরি শুরু হবে-সেটা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তখন আপনার থাকবে না-এই কথাটা ভাবেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিহিংসা বাদ দেন। কম তো খান নাই, অনেক খাইছেন। এগুলো শেষ করতে যতটুক হায়াত দরকার, আল্লাহ তো এতো হায়াত দেয় নাই। বাংলাদেশকে তো আপনি শেষ করে দিয়েছেন। এসব খেতেও পারবেন না, কবরে নিয়েও যেতেও পারবেন না। সেই কারণে বলব, স্বেচ্ছায় মানে মানে ক্ষমতা ছেড়ে দেন। আপনি যদি স্বেচ্ছায় জনগনের ক্ষমতা জনগনের কাছে দেন তাহলে মান ইজ্জত বাঁচবে। আর জনগন যদি ক্ষমতা থেকে নামায় মান-ইজ্জত-অর্থ-বিত্ত সবই হারাবেন।
তিনি বলেন, আদর্শ-চেতনা-দেশপ্রেমে জিয়াউর রহমান, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে জিয়াউর রহমান, গণতন্ত্রে জিয়াউর রহমান, উৎপাদনে জিয়াউর রহমান। তাকে সহ্য করতে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পারবেন না। তাকে ইচ্ছা করলে আড়াল করা যায় না। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে যত স্মৃতিসৌধ, কত কিছু বানাচ্ছেন। সেগুলো রক্ষার স্বার্থে হলেও ইতিহাসে হাত দেবেন না। যে যেখানে আছে রাজনৈতিক কারণে, ঐতিহাসিক কারণেই জাতির সামনে তারা এখানে আছে। তাদেরকে থাকতে দিন, তাদের নাম রাখতে দিন। মানুষের হৃদয়ে আঘাত করলে সেই আঘাতের পাল্টা আঘাত আসবে তখন কোনো ক্ষমতায়ই টিকিয়ে রাখতে পারবে না।
খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, জিয়াউর রহমানের আজকে কিছুই নাই, কিছু রেখে যান নাই। বাংলাদেশে খালেদা জিয়ার চেয়ে আর গরীব কেউ নাই। নিজের একটা বাড়ি নাই। ভাড়া বাড়িতে থাকেন। প্রায় নোটিশ পায়। ভাড়া পরিশোধ করা যায় না। দুর্নীতি দমন কমিশন খালেদা জিয়ার যা উপার্জন, যা সম্পদ আছে বৈধভাবে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। তাহলে তার একাউন্ট সিজ করে কেনো? কেনো তিনি একাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি তুলতে পারেন না। ঢাকা শহরে একজন নেত্রীর ৫০ হাজার টাকায় তার কীভাবে চলে, কীভাবে তার চিকিৎসা চলে?
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে পুরনো ঢাকার মোগলটুলিতে জিয়াউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তা্রফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলের পরিচালনায় এই মানববন্ধনে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সুলতান মো. নাসির উদ্দিন, আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল, রফিক হাওলাদার, ইয়াসীন আলী, সাদরেজ জামান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ